নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি এসআইআর ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের। তারই গুরুত্বপূর্ণ পর্ব ইনিউমারেশন ফর্ম ফিলাপের পর্ব শুরু হচ্ছে পরের সপ্তাহেই। কমিশনের তরফে বিএলও-রা (BLO) যেমন সেই ফর্ম ফিলাপের কাজ করবেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে, তেমনই সঙ্গে থাকবেন রাজনৈতিক দলের বিএলএ-রা (BLA)। এই ফর্ম ফিলাপেই (form fillup) অর্ধেক কারচুপি সারতে চাইছে কমিশন, ইঙ্গিত রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই ফর্ম ফিলাপ পর্বে বিএলও-দের ছায়াসঙ্গী হওয়ার নির্দেশ তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)।

শুক্রবার রাজ্যের সবস্তরের সাংসদ-বিধায়ক, পদাধিকারী থেকে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত ১৮ হাজার নেতা-কর্মীকে নিয়ে মেগা বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি জোর দিলেন ফর্ম ফিলাপ পর্বের উপর। একদিকে তৃণমূলের সর্বস্তরের সাংগঠনিক নেতৃত্ব, সাংসদ, বিধায়ক, অঞ্চল সভাপতি, ব্লক সভাপতিদের কার কী দায়িত্ব তা নির্দিষ্ট করে দেন অভিষেক। অন্যদিকে বিশেষ নির্দেশ দেন বিএলএদের। তিনি নির্দেশ দেন, ৪ নভেম্বর থেকে এসআইআর (SIR) পর্ব শুরু হবে। বিএলও-রা (BLO) যখন বাড়িতে যাবেন তখন তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসেবে থাকতে হবে। অর্থাৎ নাওয়া-খাওয়া ভুলে আগামী তিন মাস রাস্তায় থাকতে হবে। আগামী ছয়মাস আমাদের কাছে অ্যাসিড টেস্ট। বিএলএ-২রা যখন দেখবেন কোনও ভোটারের (voter) সব তথ্য ঠিক আছে, সঙ্গে সঙ্গে দিদির দূত (Didir Doot) অ্যাপে তুলবে। কোনও সমস্যা হলে সেটাও তুলবে। কোনওরকম অনৈতিক কাজ বিএলওরা করলে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে ধরবেন।

নির্বাচন কমিশন নিজেদের তরফে ৩ নভেম্বরের মধ্যে বিএলও-দের প্রশিক্ষণ (training) প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করবে। তারপর ৪ নভেম্বর থেকেই শুরু হয়ে যাবে ইনিউমারেশন ফর্ম (enumeration form) ফিলাপের কাজ। আবার এই ৩ তারিখের মধ্যেই রাজনৈতিকদলগুলিতাদের এজেন্ট অর্থাৎ বিএলএ নিয়োগের কাজও শেষ করবে। তৃণমূলের নির্দেশ, একশো শতাংশ ইনিউমারেশন ফর্ম ফিলাপ যাতে হয় এটাই প্রাথমিক লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণে শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, বিএলএ ২-এর অ্যাপয়েন্ট আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে ঠিক করে কমিশনকে দিতে হবে।

আরও পড়ুন: সীমান্তের ভূগোল জানে না: বিজেপির এসআইআর-চক্রান্তের তোপ অভিষেকের

শুক্রবারের বৈঠকে ছিলেন না বিএলএ-২রা। তাঁরাই এই নির্বাচনের ইনিউমারেশন ফর্ম ফিলাপে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছেন, এই বিষয়টিই ভার্চুয়াল বৈঠকে উল্লেখ করে অভিষেকের নির্দেশ, আগামী ৩ তারিখের মধ্যে প্রত্যেক দলীয় পদাধিকারীর সঙ্গে বিএলএ ২-দের ডাকবেন ও আজ যেসব গাইডলাইন দেওয়া হল সেসব বুঝিয়ে দেবেন। কোচবিহার-অশোকনগর-সহ একাধিক জায়গায় তালিকায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। সকলকে বলব ২০০২-এর হার্ড কপির সঙ্গে এখনকার অনলাইন কপি মিলিয়ে দেখবেন। যেখানে অসঙ্গতি-গরমিল পাবেন আমাদের সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন। আমরা এগুলো আদালতের সামনে আনতে চাই।

–

–

–

–
–

