দেশের মানচিত্র নিয়ে প্রাথমিক ধারণাই নেই! বিজেপি যদি দেশের পাশাপাশি বাংলার ভৌগোলিক মানচিত্রটা জানত, তাহলে বলতে পারত না বাংলায় রোহিঙ্গা (Rohinga) ঢুকেছে! আসলে বাংলাতে এসআইআরের (SIR) নামে ষড়যন্ত্র রচনা করেছে বিজেপি, সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে, স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বাংলার কাছে।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) একটি বার্তা পোস্ট করে তৃণমূল সাফ জানিয়েছে, বিজেপি দেশের ম্যাপটাই (map) জানে না! দেশাত্মবোধের বুলি আওড়ানো বিজেপি ভারতবর্ষের ভৌগোলিক মানচিত্রটা জানে না। যদি জানত, তাহলে বলতে পারত না বাংলায় রোহিঙ্গা ঢুকেছে! ভারতবর্ষের যে রাজ্যগুলোর সঙ্গে মায়ানমারের (Mayanmar) বা বাংলাদেশের (Bangladesh) সীমান্ত রয়েছে, তার একটাতেও এসআইআর (SIR) হল না, জারি হল শুধু বাংলায়!


এখানেই স্পষ্ট বিজেপি-র ষড়যন্ত্র। অভিষেকের স্পষ্ট কথা, বাংলাদেশের বর্ডার শেয়ার করছে পাঁচটা রাজ্য। কিন্তু এসআইআর হচ্ছে শুধু বাংলায়। বাকি চারটে রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে না। তারা বলছে বাংলায় বাংলাদেশি রয়েছে। বাকি চারটি রাজ্য কি বাদ! সেখান দিয়ে কি বাংলাদেশিরা প্রবেশ করতে পারে না? যাদের রোহিঙ্গা বলা হয়, তারা বার্মা বা মায়ানমার থেকে আসে। বিজেপি বলে বাংলায় এক কোটি রোহিঙ্গা আছে। রোহিঙ্গারা যদি দেশে প্রবেশ করে তাহলে তারা হয় মিজোরাম দিয়ে করবে, নয় তো মণিপুর, নাগাল্যান্ড বা অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে করবে। কিন্তু এই চারটে রাজ্যের মধ্যে একটাতেও এসআইআর হচ্ছে না। তাঁর কথায়, বাংলাদেশের চারদিকে রয়েছে মেঘালয়, অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও মিজোরাম। ১৫ দিন আগে ত্রিপুরা থেকে ২১ জন বাংলাদেশি ধরা পড়েছে। অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে অসম থেকে রোহিঙ্গা ধরা পড়েছে। মায়ানমার বাংলার সঙ্গে কোনও বর্ডার শেয়ার করে না। তাঁর সাফ কথা, লক্ষ্য যদি হয় রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা, তবে যেখান দিয়ে তারা ঢুকছে, সেখানে তাদের আটকানো। তাই সেখানে কবে এসআইআর চালু হবে, সেটাই জিজ্ঞাস্য। এর জবাব দিতে হবে ইলেকশন কমিশনকে।

–

–

–

–

–
–

