বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য গোটা দেশের জনবিন্যাসই না কি বদলে গিয়েছে। ১৫ অগাস্ট জাতির উদ্দেশ্যে ভাসনে জোর গলায় বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। অনুপ্রবেশ ইস্যু তুলে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার কোনও পথ-গলি খোলা রাখেন না বঙ্গ বিজেপির নেতারা। সেই বিজেপির সাংসদ এবার দাবি করলেন, বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কাঁটাতারের বেড়াই (barb fencing) নাকি তুলে দেওয়া হবে। বিজেপি নেতাদের সীমান্ত ও অনুপ্রবেশ (infiltration) নিয়ে দ্বিচারিতাই প্রমাণিত হয় এই বক্তব্যে, স্পষ্ট দাবি শাসকদল তৃণমূলের।

বাংলাদেশ সীমান্ত (Bangladesh border) দিয়ে অনুপ্রবেশে যে আদতে অমিত শাহর (Amit Shah) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MHA) ব্যর্থতাই প্রমাণিত হয়, তা বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও কীভাবে সেই অনুপ্রবেশকারীরা বাংলায় বসবাস করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করে চলেছেন বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রের নেতারা। অথচ সীমান্তবর্তী রাজ্য ত্রিপুরা থেকে অসম পর্যন্ত সর্বত্র যে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে, সেই প্রশ্ন উঠতেই মুখে কুলুপ আঁটেন তাঁরা।

আদতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে বিএসএফ-এর (BSF) সাজসজ্জা থাকলেও, সীমান্ত যে কেন্দ্রের বিজেপি নেতাদের মর্জিমাফিক পরিচালিত হয়, এবার সেটাই স্পষ্ট করে দিলেন রানাঘাটের (Ranaghat) বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar)। তিনি দাবি করলেন, কথা দিচ্ছি, এ বারের ভোটে আমরা জিতলে বাংলাদেশের সঙ্গে মাঝখানে এই কাঁটাতারের বেড়া (barb fencing) আমরা আর রাখব না। এক ছিল, আবার এক হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: পাঁচবার যান: তালিকায় ন্যায্য পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নিশ্চিত করতে নির্দেশ অভিষেকের

আর সেখানেই যে বিজেপির দ্বিচারিতা স্পষ্ট তা তুলে ধরলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর স্পষ্ট দাবি, এক দিকে তারা বলছে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। অন্য দিকে তারাই বলছে, ‘কাঁটাতার তুলে দেব।’ তাদের এই দ্বিচারিতা বাংলার মানুষ বুঝে নেবেন।

–

–

–

–
–

