ভয়াবহ কাণ্ড লন্ডনগামী ট্রেনে। দুই আততায়ীর বিরুদ্ধে হঠাৎ করেই ট্রেনের ভিতরে যাত্রীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তাদের এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে আহত কমপক্ষে ১০ জন যাত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ট্রেনের ভিতরে রক্তগঙ্গা বইছিল সেই সময়ে। আহত-রক্তাক্ত ব্যক্তিরা মেঝেতে পড়ে রয়েছেন আর অন্যদিকে আতঙ্কিত যাত্রীরা প্রাণ বাঁচাতে শৌচাগারে লুকিয়ে ছিলেন। ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছে হান্টিংডনগামী একটি ট্রেনে একাধিক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতের ঘটনার তদন্ত চলছে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেমব্রিজশায়ার পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৯ জনের আঘাত বেশ গুরুতর। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানা গিয়েছে, ট্রেনটি উত্তর-পূর্বের ডনকাস্টার থেকে লন্ডনের কিংস ক্রস স্টেশনে যাচ্ছিল। উইকএন্ড বলে ট্রেনে অন্যদিনের থেকে ভিড় একটু বেশি ছিল। হঠাৎ একটা বড় ছুরি নিয়ে আততায়ী যাত্রীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। গোটা কামরায় শোরগোল পড়ে যায়। পালাতে গিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি লেগে যায়। পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরী হয়। ট্রেনের দরজা খুলতেই বড় ছুরি হাতে নিয়ে এক আততায়ী পালাতে গেলে পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার এই ঘটনা প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার সমবেদনা। এ ছাড়া জরুরি পরিষেবার প্রতিটি সদস্যকে তাঁদের তৎপরতার জন্য ধন্যবাদ। ওই এলাকায় থাকা সমস্ত মানুষকে পুলিশের পরামর্শ মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ছুরির অপরাধ ক্রমাগত বাড়ছে। ব্রিটেনে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকার পরেও স্টারমার ক্রমবর্ধমান ছুরি অপরাধকে ‘জাতীয় সঙ্কট’ হিসেবে মনে করছেন। জনসমক্ষে ছুরি বহন করলে চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।

–

–

–

–

–

–

–
–
–

