Saturday, November 15, 2025

বিহারের ফলাফলে বাংলা নিয়ে মোদির স্বপ্ন ‘সেগুড়ে বালি’: ধুইয়ে দিল তৃণমূল

Date:

একদিকে যখন বিহারে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে, তখন বাংলার বিজেপি নেতারা হঠাৎই আবির খেলা, মিষ্টিমুখে মেতে উঠেছেন। ফলাফল প্রকাশের প্রায় শেষ পথে মঞ্চে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। জোরালো গলায় দাবি করলেন, বিহারের পথে বাংলা জয় করবে বিজেপি। মোদির সেই দাবিকে বিজেপির ‘কুঁজোর চিৎ হয়ে শোয়ার স্বপ্ন’, বলে কটাক্ষ বাংলা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। যে যুক্তিতে দাঁড়িয়ে বিহার জয় করেছে বিজেপি তা যে বাংলায় কোনও ভাবেই খাটবে না, স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

দিল্লি থেকে বিহার নির্বাচনের (Bihar Assembly Election) ফলাফলে কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, আজকের বিজয় বিজেপির কেরালা, তামিলনাড়ু, পণ্ডিচেরি, অসম ও পশ্চিমবঙ্গের কর্মীদের নতুন উদ্যমে ভরিয়ে দিয়েছে। গঙ্গা বিহার থেকে বয়ে বাংলায় পৌঁছয়। বিহারই বাংলায় বিজেপির উদয়ের রাস্তা বানিয়ে দিয়েছে। আমি বাংলার ভাই-বোনেদের আশ্বস্ত করছি, বিজেপির সরকার আপনাদের সঙ্গে বাংলা থেকে জঙ্গলরাজ উৎখাত করবে।

আর সেখানেই নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নকে ‘সেগুড়ে বালি’ দাবি কুণাল ঘোষের। তাঁর দাবি, বিহার যে রসায়নে পেয়েছে বিজেপি, তার সঙ্গে বাংলার কোনও সম্পর্কই নেই। যে ধরনের জঙ্গলরাজের (Jungal raaj) অভিযোগ বিহারে (Bihar) নিয়ে এসেছে তারা, বাংলায় সেই ধরনের অভিযোগের মোকাবিলার সমস্ত রকম প্রস্তুতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) করে রেখেছেন।

লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি জমানার জঙ্গলরাজের অভিযোগ তুলে যেভাবে বিহারের ভোটের ময়দান কাঁপিয়েছে এনডিএ (NDA) জোট, তা যে বাংলায় সম্ভব নয় তা স্পষ্ট করে কুণালের দাবি, বাংলায় জঙ্গলরাজ ছিল। ছিল বাম জমানায়। এখন নরেন্দ্র মোদির সরকারি দফতরের রিপোর্ট দেখিয়ে দেয় বাংলা নিরাপদতম। কাশ্মীর থেকে দিল্লি, পরপর বিস্ফোরণ দেখিয়ে দেয় বাংলা দেশের মধ্যে নিরাপদতম।

আরও পড়ুন: নেতৃত্ব দিতে অপারগ! রাঘোপুর ধরে রাখলেও অনুকরণ রাজনীতি নিয়ে ডুবলেন তেজস্বী

বিহার নির্বাচনে জনমুখী প্রকল্প তুলে ধরে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম মোদি-নীতীশ (Nitish Kumar) জোট। সেই প্রস্তুতিও যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই সেরে রেখেছেন, তা স্পষ্ট করে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, বাংলার পরিষেবামূলক কাজ জাতীয় স্তরে প্রথম। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। বিজেপি যেভাবে বাংলার মানুষ বাঙালিদের অপমান করছে, তার জবাব ২৬ সালে বিজেপি পাবে। আসন আরও কমবে। বিরোধী দলের স্বীকৃতিও যাবে বিজেপির।

Related articles

জনজাতীয় গৌরব দিবস: বীরসা মুন্ডার জন্মদিনে শ্রদ্ধা ও আদিবাসী ঐতিহ্য উদযাপন

সি পি রাধাকৃষ্ণণ, ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি আজ আদিবাসী আন্দোলনের অন্যতম নেতা বীরসা মুন্ডার (Birsa Munda) জন্মদিবস। এই দিনটিকে জনজাতীয় গৌরব...

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...
Exit mobile version