বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পথ ধরেই বিহারে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সাফল্য। বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে নকল করে ২০২৫ এর নির্বাচনী বৈতরিনী শুধু পেরল তাই নয়, এনডিএ জোট রেকর্ড আসনে জিততে চলেছে। শুধু কি সেই কারণেই মহিলা ভোটাররা বেড়েছে কম-বেশি ১২ শতাংশ। এটা মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনার ফল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

২০২১ থেকে বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakhsmir Bhander) প্রকল্প শুরু হয়েছে। ১৮-৬০ বছরের বাড়ির প্রত্যেক মহিলা এই সুবিধা পাচ্ছেন। সেই মডেল নকল করেছিল মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর সরকার। কেউ কেউ মাঝপথে বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলা কথা দিয়ে কথা রেখেছে। ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় এসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে কটাক্ষ করে রাবড়ি বলেছিলেন। আর তিনিই এবারে বিহারের ভোটের আগে প্রচারে এসে প্রত্যেক মহিলদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা।
আরও খবর: Over rated-Over hyped! অভিষেকের মন্তব্যই মিলে গেল বিহারে পিকে-র দলের ভরাডুবিতে

মহিলাদের ভোট টানতে মরিয়া হয়ে একের পর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে নীতীশ আর বিজেপিকে। ২০০৫ সালে নীতীশ কুমার যখন প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন, তখনই স্কুল পড়ুয়া মহিলাদের সাইকেল দিয়েছিলেন। এখন তাঁরা অনেকেই গৃহবধূ। এই ভোটের আগে তাঁরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন। তা ছাড়া বিহারে মদ নিষিদ্ধ করে দেওয়া, পুলিশের চাকরিতে মহিলাদের বাধ্যতামূলক সংরক্ষণ, পঞ্চায়েতে ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ সবই মহিলা জনভিত্তিকে ধারাবাহিক ভাবে মজবুত করেছে। আর এর সবকটি পদক্ষেপই তারা নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দেখানো পথেই।

–

–

–

–

–

–

–


