যত বড় পরিকল্পনা, তত বড় তা নিয়ে প্রতারণার সম্ভাবনা। আধার কার্ড তৈরির সময়ে জালিয়াতি চক্র থেকে নোটবন্দিতে জাল নোটের রমরমা – সবই কেন্দ্রের সরকারের ব্যর্থতাকে প্রমাণিত করে। তারপরেও ব্যাপক আকারে এসআইআর (SIR) চালু করার পথে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তারই সুযোগ নিয়ে এবার বাংলায় প্রতারণা সংস্থা। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল দিল্লির (Delhi) ৮ জনকে।

হাতে ল্যাপটপ, বড় ক্যাম্প তৈরি করে এসআইআর-এর (SIR) ফর্ম ফিলাপ (form fillup)। গলায় আই কার্ড ঝুলিয়ে দিল্লি থেকে আসা যুবকদের তাঁরা দিল্লি থেকে এসেছেন এসআইআর ফর্ম ফিলাপের জন্য। কিন্তু এসআইআর ফর্ম ফিলাপে কেন লাগবে ওটিপি (OTP)? সেই সন্দেহ হওয়াতেই প্রতারণার পর্দা ফাঁস। এলাকার মানুষই আটকে রেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আট জনকে আটক করে নিয়ে যায়।

উত্তর চব্বিশ পরগণার কদম্বগাছি রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের পাশে হেমন্ত বসু এলাকায় ব্যানার টাঙিয়ে চলছে স্যার এর ফর্ম ফিলাপ। দিল্লি থেকে এসেছে ‘লোকবন্ধু পার্টি’র সদস্যরা (Lokbandhu Party)। অফ লাইনে (offline) ফর্ম ফিলাপ (form fillup) করতেও লাগছে মোবাইল নম্বর। আর সেই মোবাইল নম্বরে যাচ্ছে একটি ওটিপি। গ্রামে গ্রামে গিয়ে তারা এভাবেই এসআইআর ফর্ম ফিলাপ করছেন। তাঁদের দাবি, ওটিপি নাম্বার নিচ্ছেন রেকর্ড করে রাখবেন বলেও জানান। এখানেই সন্দেহ হয় এলাকার মানুষের।

আরও পড়ুন : ক্রমশ কাজের চাপ বাড়াচ্ছে কমিশন: জেলায় জেলায় বিক্ষোভে BLO-রা

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই পার্টির নাম তাঁরা কখনও শোনেননি। কীভাবে তাঁরা সাহায্য করছেন ফর্ম ফিলাপে। যেখানে অফ লাইন ফর্ম ফিলাপে কোনও রকম ওটিপির দরকার হয় না, সেখানে তারা ওটিপি নিয়ে কী করছে, সেটাই প্রশ্ন স্থানীয়দের। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতিশ বিশ্বাস জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছিল। ওরা একটা রাজনৈতিক দলের সদস্য। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

–

–

–

–

–


