বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Shatabdi Ray) সামনেই সংঘর্ষ দুই গোষ্ঠীর। আর সেই ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি। যদিও শতাব্দীর দাবি, “এই অশান্তি তৃণমূলের নয়, বিরোধীদের- বিজেপি আর সিপিএম-এর“ সিউড়ি-২ ব্লকের কোমা গ্রামপঞ্চায়েতের গাংটে গ্রামে এসআইআর সংক্রান্ত আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শতাব্দী। অভিযোগ, সভা চলাকালীনই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। গড়ায় হাতাহাতিতে। তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় দলের অন্য এক গোষ্ঠী। বিক্ষুব্ধদের হাত থেকে একজনকে বাঁচিয়ে নিজের গাড়িতে তুলে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন শতাব্দী। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করেও জুতো উড়ে আসে।

দীর্ঘদিন ধরেই সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলামের অনুগামীদেরর সঙ্গে বিরোধ ছিল কোমা অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদির ৷ বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের অনুগামী হিসেবে এলাকায় পরিচিত নুরুল ৷ এদিকে বলরাম অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। সেই দ্বন্দ্বই সাংসদের সামনে চরম আকার নেয় বলে অভিযোগ ৷

শতাব্দী (Shatabdi Ray) জানান, “আপনাদের ভুল হচ্ছে ৷ যে ছেলেটি ঝামেলা পাকিয়েছে সে সিপিআইএমের বিএলএ-২ ৷ আর যিনি গাড়ির সামনে শুয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সেই মহিলাকে একাধিকবার বিজেপি নেতাদের পাশে ছবি দেখা গিয়েছে। ফলে তাঁরা যে আমাদের পক্ষে কথা বলবেন না সেটাই স্বাভাবিক। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছেই, থাকবেই ৷ কিন্তু, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সঙ্গে এই লোকগুলোও আছে ৷ যাঁরা অন্য দলের সঙ্গে যুক্ত ৷ তবে কী অভিযোগ রয়েছে সেটা আমি শুনব ৷”

একই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদের দাবি, “এই অশান্তি তৃণমূলের নয়, বিরোধীদের- বিজেপি আর সিপিএম-এর (BJP-CPIM) লোকজন এসে বিক্ষোভ করছে। ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।”

–

–

–

–

–

–


