বাংলবিরোধী বিজেপির মুখোশ খসে পড়ল আবার। খোদ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যই বাংলাদেশি! বাংলাদেশে ভোটার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম। আবার তিনি সমুজ্জ্বল ভারতীয় ভোটার তালিকাতেও। কাহিনির শেষ এখানেই নয়। এই দ্বি-জাতীয় ভোটার আবার বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যও।

দেশ জুড়ে বাংলা বিদ্বেষের বাতাবরণ শুরু করেছে বিজেপি। এখন আবার বাংলার মানুষের উপর অপরিকল্পিত এসআইআর চাপিয়ে দিয়ে নতুন এক অত্যাচার শুরু করেছে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশন। আর অন্যদিকে পরিচয় লুকিয়ে বাংলাদেশের ভোটারকে স্বরূপনগরে নিজেদের পঞ্চায়েত সদস্য করে রেখেছে। এই বিজেপির স্বরূপ ফের একবার সামনে চলে এল স্বরূপনগরে। খুলে গেল বাংলা-বিরোধী দলটার মুখোশ।

স্বরূপনগরের বিথারি-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য সুভাষচন্দ্র মণ্ডল। বাবার নাম রাধাপদ মণ্ডল। ওই পঞ্চায়েতের ১০০ নম্বর বুথে গত ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন সুভাষচন্দ্র মণ্ডল। এসআইআর আবহে ফাঁস হয়ে গেল তাঁর আসল পরিচয়টাই। এই বিজেপি নেতা যে আসলে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার রুদ্রপুরের বাসিন্দা! কলারোয়ার এক বুথের ভোটার। সেখানে তাঁর নাম সুভাষ মণ্ডল। বাবার নাম রাধাকান্ত মণ্ডল। এখানেই প্রশ্ন, বাংলায় এসে বিজেপি নেতা বনে যাওয়া এই সুভাষচন্দ্র মণ্ডলরা কী করে সীমান্ত পেরিয়ে এলেন। দায় এড়াতে পারে কি অমিত শাহের মন্ত্রক। এই বিজেপিই আবার অনুপ্রবেশ নিয়ে বড় বড় কথা বলে। অথচ বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে লোক ঢুকিয়ে তারাই দলের নেতা বানিয়ে রেখেছে। একটা বাংলা বিরোধী, জনবিরোধী এবং সর্বোপরি দেশবিরোধী বিজেপি এবার সমুচিত জবাব পাবে। জবাব পাবে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে। এ বিষয়ে তৃণমূলের সাফ কথা, বিজেপি জেনেশুনেই সীমান্তে জোড়া পরিচয়ের লোকজনকে দলে টেনে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। নিজেদের স্বার্থে দুই দেশের পরিচয়ধারী ব্যক্তিকে পঞ্চায়েত সদস্য বানিয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- বিএলও–দের প্রতি পূর্ণ আস্থা কমিশনের, নিউ টাউনের কর্মশালায় জানালেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক

_

_

_

_

_

_
_
_


