বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ার মাঝেই পাণ্ডবেশ্বরে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এনুমারেশন ফর্মের কিউআর কোড স্ক্যান করতেই দেখা গেল—বৃদ্ধা মায়ারানী গোস্বামী নাকি ৪৪টি ভিন্ন ভিন্ন বিধানসভা এলাকার ভোটার! একই ব্যক্তির নাম কোথাও মায়ারানী দাস, কোথাও মায়া রানী গোস্বামী, আবার কোথাও মায়ারানী রায়—নাম এক, পদবী আলাদা, ঠিকানায় মিল নেই। ঘটনাটি প্রকাশ পেতেই উত্তাল এলাকা ও রাজনৈতিক মহল।

গত ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া—বৈধ ভোটার চিহ্নিতকরণ ও অবৈধ নাম বাদ দেওয়ার উদ্দেশ্যে। এর মধ্যেই বুথ লেভেল অফিসাররা পাণ্ডবেশ্বরের প্রতিটি বাড়িতে এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছে দেন। সেই ফর্মই পৌঁছেছিল মায়ারানী গোস্বামীর বাড়িতে। ফর্ম স্ক্যান হতেই উঠে আসে এই অভূতপূর্ব গরমিল। অবাক ও আতঙ্কিত বৃদ্ধা এখন পুরোপুরি হতবাক পরিস্থিতি বুঝে উঠতে না পেরে। তৃণমূল শিবিরের দাবি, পুরো বিষয়টিই নির্বাচন কমিশনের গাফিলতি। একই সুর সাংসদ কীর্তি আজাদের—তিনি সরাসরি কমিশনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।

পাণ্ডবেশ্বরের খনি এলাকার এই গরমিল প্রশাসনিক মহলেও প্রশ্ন তুলেছে। কীভাবে একই ব্যক্তির নামে ৪৪টি ভোটার পরিচয় যুক্ত হয়? ডেটা এন্ট্রি ভুল, নাকি আরও গভীর কোনও সমস্যা—তা নিয়ে তদন্তের দাবি উঠছে নানা মহল থেকে।

আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি-র নয়া পরিকাঠামো উদ্বোধন ও শিলান্যাস, আপ্লুত সত্যম

_

_

_

_

_

_
_


