বিহারে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করেই ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তার জেরে বিরোধীরা সাধারণ মানুষের ভোটার অধিকার রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়। সেখানেই শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ভোটারের (voter) ভোটাধিকার প্রমাণে যে ১১টি নথির উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন, সেখানে আধার কার্ডকেও (Aadhaar card) রাখতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এবার ভোটার তালিকায় নতুন নাম তুলতে আধার কার্ডকে বাধ্যতামূলক (compulsory) করল নির্বাচন কমিশন।
সুপ্রিম কোর্টের ধমকের পরে ইনিউমারেশন ফর্ম (enumeration form) ফিলাপে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করেছিল নির্বাচন কমিশন। এবার নতুন ভোটার কার্ডের আবেদন, ভোটার কার্ড স্থানান্তর এবং সংশোধনের আবেদনেও আধার কার্ড (Aadhaar card) বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছে। এতদিন নতুন ভোটার কার্ডের (Epic card) আবেদন জানানোর ৬ নম্বর, স্থানান্তরের আবেদন জানানোর জন্য ৭ নম্বর ও সংশোধনের আবেদন জানানোর ৮ নম্বর ফর্মে আধার জমা দেওয়া ঐচ্ছিক ছিল। নতুন নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এবার থেকে এই তিনটি ক্ষেত্রেই আধার নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক।
একসময় সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে আধার কার্ডের গুরুত্ব তুলে ধরে বিরোধীরা। তখন হাজারো যুক্তি খাঁড়া করার চেষ্টা করেছিল নির্বাচন কমিশন, যাতে আধার কার্ডকে নথির তালিকা থেকে বাদ রাখা যায়। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এবার নিজেদের সব যুক্তি নিজেরাই খারিজ করে কমিশনের দাবি, আধার নম্বর ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকে। তাই ভোটার তালিকা (voter list) পরিষ্কার, নির্ভুল এবং স্বচ্ছ রাখতে আধার বাধ্যতামূলক করাই যুক্তিযুক্ত।
সেই সঙ্গে কমিশন এটাও মেনে নিল বহু কাঠখড় পুড়িয়ে তৈরি করা দেশের মানুষের আধার কার্ড আদতে কমিশনেরই কাজ সহজ করবে। কমিশনের তরফে জানানো হয়, অনলাইন নতুন ভোটার কার্ডের আবেদন (online application) করলে কমিশনের সার্ভার সরাসরি আধারের সই (signature) ও তথ্য যাচাই করতে পারবে। ফলে ভোটারের যাচাই প্রক্রিয়া সহজ হবে। আগামী ৯ ডিসেম্বর রাজ্যে প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা (draft voter list)। সেদিন থেকেই শুরু হবে নতুন ভোটার কার্ডের আবেদন, ডিভিশন এবং সংশোধনের জন্য আবেদন গ্রহণ। সময় পাওয়া যাবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
–
–
–
–
–