Thursday, December 18, 2025

রহস্যজনক! কে বানালো ভোটার তালিকা তৈরির অ্যাপ, কমিশনকে প্রশ্ন তৃণমূলের

Date:

Share post:

একদিকে রাজ্যের বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মারফৎ রাজ্যে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর থাকা সত্ত্বেও নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরির জন্য লোক নিয়োগ শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষ ও বিএলও-দের (BLO) ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন এআই অ্যাপ (AI app)। নির্বাচন কমিশনের বড়াই করে প্রচার চালানো এই অ্যাপ নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিবার কমিশনের এক একটা কারচুপি ধরা পড়ার পরে তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলে। এবার অ্যাপ নির্ভর ভোটার তালিকা (voter list) তৈরি চলাকালীনই এই অ্যাপের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে (Saket Gokhale)।

বাড়ি বাড়ি ইনিউমারেশন ফর্ম (enumeration form) ফিলাপ চলাকালীন বিএলও-দের যে অ্যাপে ভোটারদের সব তথ্য তুলতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা সরাসরি কমিশনের ইলেক্ট্রনিক খাতায় তালিকাভুক্ত হবে। সেই অ্যাপের মাধ্যমেই না কি ভুয়ো ভোটার যাচাই হবে। যেখানেই ডুপ্লিকেট ভোটারের (duplicate voter) সম্ভাবনা তৈরি হবে, সেখানেই এই অ্যাপই তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কাজ করবে।

সেখানেই তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলের তিনটি প্রশ্ন। নির্বাচন কমিশন তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই অ্যাপ ও তার কার্যকারিতা সম্পর্কে কোনও বিস্তারিত তথ্য পেশ করেনি। সেখানেই যে প্রশ্ন আসে তা প্রথমত, এই অ্যাপের নির্মাতা ও বিক্রেতা কারা? দ্বিতীয়ত, এআই সংক্রান্ত যোগ্যতামানগুলি কী এই অ্যাপ (App) পাশ করেছে? তৃতীয়ত, বর্তমানের পিডিএফ সফটওয়্যারের (software) মাধ্যমেই যখন ডুপ্লিকেট ভোটার খোঁজা সম্ভব, তখন এই এআই অ্যাপের (AI app) নতুন করে কী প্রয়োজন?

আর এই সব প্রশ্নই উঠেছে কমিশনের পুরোনো কারচুপির ঘটনা থেকেই। সাকেত সেই ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ২০১৯ সালে মুখোশ খুলেছিল কমিশনের যখন মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) বিজেপির আইটি সেলের (IT cell) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একটি সংস্থাকে দিয়ে কাজ করিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন : এসআইআরের চাপ, হৃদরোগে আক্রান্ত বিএলও

সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই এআই অ্যাপ সংক্রান্ত তথ্যে কেন এত গোপণীয়তা অবলম্বন করছে কমিশন? কী নিশ্চয়তা রয়েছে যে এই অ্যাপ বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোথাও তৈরি হয়নি? যে ধরনের সন্দেহজনক পদ্ধতিতে এই এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাতে কমিশনের জিরো স্বচ্ছতা (zero transparency) প্রমাণিত হয়েছে। ইসিআই কেন নিজেদের স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে পারছে না?

spot_img

Related articles

নিউটাউনের ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তর ২৪ পরগনার নিউটাউনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধ্যার পর...

বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ: বিনিয়োগের বার্তা নিয়ে শিল্পপতিদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে শিল্প ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’। ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে...

২২ জানুয়ারি থেকে শুরু ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা, ভার্চুয়ালেও মিলবে মেলার স্বাদ

আর দেড় মাসের অপেক্ষা। আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। বইপ্রেমীদের জন্য এ...

যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা-কাণ্ডে শোকজের জবাব জমা তিন শীর্ষ কর্তার

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার ঘটনায় শোকজের জবাব জমা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, ক্রীড়া...