একদিকে ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি ঘূর্ণিঝড় সেনিয়ার (Senyaar), অন্যদিকে চেনার শীতের ছন্দে বাংলা বাংলা। এই দুয়ের মাঝেই রাজ্যে বৃষ্টির ভ্রুকুটি! মালাক্কা প্রণালীতে তৈরি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে (cyclone) পরিণত হয়েছে। হাওয়া অফিসের (IMD) কর্তারা জানাচ্ছেন প্রায় ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে এটি বৃহস্পতিবারই ইন্দোনেশিয়া উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Alert)। যদিও এসবের কোন প্রভাব বাংলায় পড়বে না। উত্তর থেকে দক্ষিণ, বঙ্গের সর্বত্র ভরপুর শীতের (winter) আমেজ। ভোরের শিরশিরানি আর হিমেল পরশে আগুন জ্বালিয়ে গা-হাত-পা গরম করে নেওয়ার চেনা ছবি ধরা পড়তেই চওড়া হাসি বাঙালির মুখে। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই রাতের দিকে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department)। কলকাতা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৬ ডিগ্রির ঘরে।
বীরভূম থেকে বাঁকুড়া, হাওড়া থেকে হুগলি রাজ্যের সর্বত্র শীতের দাপট। পশ্চিমের জেলাগুলিতে পারদ নেমেছে ১২ ডিগ্রির ঘরে।বীরভূমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি।পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১২ ডিগ্রির কাছাকাছি। পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা প্রায় ১৩ ডিগ্রি। মহানগরী তুলনায় জেলায় জেলায় দ্রুত নিম্নমুখী হচ্ছে পারদ। ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা উত্তরবঙ্গে পার্বত্য জেলায়।দার্জিলিংয়ে পারদ নেমেছে ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত। কালিম্পংয়ে তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে। আগামী দু-তিন দিনে এই আবহাওয়ার খুব একটা পরিবর্তন হবে না।
–
–
–
–
–
–
–
–