প্রকাশ্যে হাওড়ার গুলি-কাণ্ডের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ (CC Camera Footage)। হাওড়ার (Howrah) বালিতে তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান দেবব্রত মণ্ডল (বাবু)-কে (Debobrata Mondal) লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ফুজেটে স্থানীয় দুষ্কৃতী বাসু চৌধুরীকে (Basu Chowdhury) গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে। (যদিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ব বাংলা সংবাদ’)।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ হাওড়ার সাঁপুইপাড়া বসুকাঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তৃণমূলের ওই অঞ্চলের চেয়ারম্যান বাবু মণ্ডল তাঁর সঙ্গী অনুপম রাণার বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। ষষ্ঠীতলার কাছে আগে থেকেই অপেক্ষা করা দুজন এসে খুব কাছ থেকে বাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বাবুর কোমরে ও কাঁধে গুলি লাগে। সিসি ক্যামেরা (CC Camera Footage) ফুটেজ অনুযায়ী, গুলিবিদ্ধ হয়ে বাইক থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পরেও অভিযুক্তকে আটকানোর চেষ্টা করেন পঞ্চায়েত প্রধান। দু’জনকে ধস্তাধস্তি করতেও দেখা যাচ্ছে। (যদিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ব বাংলা সংবাদ’)। গুলি চলার পরেই বাইকের গতি বাড়িয়ে চলে যান প্রধানের সঙ্গী।
বাবু রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে যান হাওড়া জেলা(সদর) তৃণমূলের সভাপতি ও বিধায়ক গৌতম চৌধুরী, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, ডোমজুড়ের যুব তৃণমূল সভাপতি নূরাজ মোল্লা-সহ দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ বলেন, “কেন এই ঘটনা বোঝা যাচ্ছে না। দুস্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে বলেছি।“ ঘটনার পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
আরও খবর: এসআইআরের চাপে হার্ট অ্যাটাক, কাজ করতে করতে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের বিএলও-র
তৃণমূলের অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে বিরোধীরা রয়েছে। হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি কৈলাশ মিশ্রের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি যুক্ত। তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ পদ্মশিবিরের নেতারা। এলাকা দখল ও ইমারতি ব্যবসার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাঁদের দাবি, সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও বাসুকে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে। এক সময় দেবব্রত-ঘনিষ্ট বলেই পরিচিত ছিলেন বাসু।
–
–
–
–
–
–