রাজ্যের এসআইআর প্রক্রিয়ায় বিএলও-দের ঘাড়ে বন্দুক রেখে খেলছে নির্বাচন কমিশন। অথচ সেই বিএলও-দের (BLO) কোনও দায়িত্ব নিচ্ছে না কমিশন (Election Commission)। তাদের বেতন বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাও ঠেলেছে রাজ্যের ঘাড়ে। সেখানেই নির্বাচন কমিশনকে পাল্টা শর্ত দিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রীতিমত কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রকের (Finance Ministry) কাছে চিঠি লেখার দাবি জানালেন তিনি।
কমিশন আর্থিকভাবে বাংলার সরকারকে চাপে রেখে যে বদনাম করার চেষ্টা করেছে সেখানেই পাল্টা চাল অভিষেকের। গোটা বিষয়ে কমিশনের মুখোশ খুলে অভিষেকের ব্যাখ্যা, নির্বাচন কমিশন তিন মাস আগে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল যেখানে ৬ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা করার। সেই টাকাটা কমিশন দেবে না। যদিও কমিশন এখানে সিইও (CEO) অফিসের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা দেবে। কিন্তু বিএলও-দের (BLO) পারিশ্রমিকের (remuneration) জন্য আলাদা টাকা দেবে না। রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে।
তবে সেই বিজ্ঞপ্তি মানতে কমিশনকে (Election Commission) পাল্টা শর্ত অভিষেকের, আমি অনুরোধ করব, বাংলার ২ লক্ষ কোটি টাকা বাংলার পাওনা (dues) আছে কেন্দ্রের থেকে। তাঁরা একটা চিঠি লিখুন যে, কেন্দ্র কোন আইনের কোন ধারায় এই ২ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। এর যদি ৫০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রের সরকার ছাড়ে, তবে কমিশন যে ১২ হাজার টাকা বিএলও-দের পারিশ্রমিক করবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তৃণমূলের সরকার সেই টাকা ৬০ হাজার টাকা করবে।
যেভাবে কেন্দ্র্রে বিজেপির সরকার নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে বাংলার উপর চাপের রাজনীতি করছে, তার মুখোশ খুলে অভিষেকের দাবি, টাকাটা তো আটকে রেখেছে কেন্দ্র। আপনি কেন্দ্রকে লিখুন গবির মানুষের ৫-৭ হাজার টাকা দিচ্ছে না। আপনি বলছেন বিএলও-দের পারিশ্রমিক। এই টাকা যদি কেউ আটকে রাখে সেটা কেন্দ্রীয় সরকার। ডিএ নিয়ে মামলা হচ্ছে, মানুষের জানা উচিত কী প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে সরকার চলছে। এই যে ২ লক্ষ কোটি টাকা বাংলার পাওনা সেটা বিজেপি নেতাদের পৈত্রিক সম্পত্তি না, এটা বাংলার মানুষের টাকা।
আদতে নির্বাচন কমিশন যেভাবে কেন্দ্রের সরকারের তাবেদারি করে চলেছে, তারই পাল্টা শর্ত প্রয়োগ অভিষেকের। তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আছে? তাঁরা একটা চিঠি লিখুক, নির্বাচিত সরকার, ১০-১২ কোটি মানুষের রাজ্য। সাড়ে সাত কোটি ভোটার। মানুষ ভোট দিয়ে তাঁদের কাজ করার জন্য। তাঁদের উন্নয়নের টাকা নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার গা জোয়ারি করে আটকে রেখেছে। এই টাকা ছেড়ে দেওয়া হোক। খালি এই চিঠিটা (letter) লিখুক। টাকা না দিলেও হবে।
আরও পড়ুন : ৪০জনের মৃত্যু, সংসদে জবাব চাইলেই ‘নাটক’! মোদিকে পাল্টা প্রশ্ন অভিষেকের
বিজেপির তাবেদার কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করে অভিষেকের প্রশ্ন, নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রককে খালি একটা চিঠি লিখুক। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা প্রত্যেক বিএলও-র অ্যাকাউন্টে টাকা দেব। নির্বাচন কমিশন লিখবে? নিরপেক্ষ হলে লিখত। যারা বসিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কীভাবে লিখবে। আমার চ্যালেঞ্জ, কমিশন কেন্দ্রের সরকারকে একটা চিঠি লিখুক।
–
–
–