১০০ দিনের কাজ গ্রামীন আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে প্রাপ্য প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এর প্রতিবাদে বুধবার সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল সাংসদরা। রাজ্যসভার কক্ষে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন সাংসদ দোলা সেন (Dola Sen)।
সংসদ চত্বরে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে এদিন বিক্ষোভে সামিল হন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, জুন মালিয়া, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিমা মণ্ডল, প্রকাশ চিক বরাইক, মমতা বালা ঠাকুর, শিউলি সাহা, সাজদা আহমেদ, সায়নী ঘোষ, ডাঃ শর্মিলা সরকার, মহুয়া মৈত্র, সুখেন্দু শেখর রায়, ইউসুফ পাঠান, জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া, কীর্তি আজাদ, ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ অন্যান্যরা। তাঁদের দাবি হকের টাকা দিতে হবে, নইলে গদি ছাড়তে হবে। বাংলা-বিরোধী মোদি সরকার বাংলার ন্যায্য বকেয়া প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। বাংলার মানুষের হকের টাকার দাবিতে সংসদের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে একজোট হয়ে প্রতিবাদে নামলেন তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূলের সাফ কথা, প্রতিহিংসা যতই করো বিজেপি, বাংলার টাকা আমরা আদায় করেই ছাড়ব।

রাজ্যসভায় দোলা সেন কেন্দ্রের মোদি সরকারকে একহাত নিয়ে বলেছেন,”বাংলার বকেয়ার চিত্র এইরকম MGNREGA ৪৩ হাযার কোটি টাকা বাকি। বুলবুল, আমফান, যশ সব ঘূর্ণিঝড়ে ৪২ হাজার ৬০০ কোটি বাকি। গ্রামীন আবাস যোজনায় ২৪ হাজার দুশো কোটি বাকি। সমগ্র শিক্ষায় ১৯ হাজার কোটি টাকা বাকি। গ্রাম সড়কে ২৭০০ কোটি টাকা বাকি। জল জীবন মিশনে ২৫০০ কোটি টাকা বাকি। সব মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার কাছে বকেয়া।ফলে এভাবে মা মাটি মানুষের হকের কড়ি থেকে বঞ্চিত করে কোন লোকভবনের গল্প শোনাচ্ছেন বন্ধুরা। আমরা বিশ্বাস করি সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই। মানুষই শেষ কথা বলে। তাই আপনার মাধ্যমে ইউনিয়ন সরকারের ট্রেজারি বেঞ্চকে বলতে চাই এই জন্যে মানুষ ৩০৩ থেকে ২৪০-এ নামিয়েছে। এভাবেই মানুষ আপনাদের সবক শেখাবে। যাতে এর পরের বার আপনারা এই তানাশাহির সুযোগই না পান। এসআইআর নিয়ে আলোচন নেই। কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই রাজভবনের নাম বদলে লোকভবন করে দেওয়া হল।”

বুধবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা ইন্ডিয়া-র বৈঠকে যোগ দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। শীতকালীন অধিবেশনে বিরোধীদের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে নয়া শ্রম আইনের বিরুদ্ধে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখান ইন্ডিয়া-র নেতৃত্বরা। এই বিক্ষোভে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেদের সঙ্গে তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মালা রায় (Mala Roy) ও রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনও।

মঙ্গলবার নবান্ন থেকে রাজ্যের ১৫ বছরের উন্নয়নের পাঁচালি তুলে ধরে বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে কেন্দ্রর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “জিএসটি বাবদ রাজ্যেরও টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে কেন্দ্র। রাজ্যের প্রাপ্য প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রয়েছে।” এরপরই বুধবার সংসদ চত্বরে আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদরা।

–

–

–

–

–


