বিমান বাতিলের (Flight Cancelled) রেকর্ড গড়ল দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগো (Indigo)। গত ৩-৪ দিনে বিমান বাতিল হওয়ার সংখ্যা পৌঁছেছে ১০০০-এ। শুক্রবার সকালেও নতুন করে ৪০০ এর বেশি বিমান বাতিল হয়েছে। কলকাতা, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বই-সহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে বিমানবন্দরে আত্মান্তরে পড়েছেন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার একদিনেই ৫৫০-র বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়। ২০ বছরের ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন। সংস্থার মতে, ক্রু রোস্টার (Crew Roaster) সমস্যা ও নতুন ডিউটি-নর্মস (New Duty Norms), সঙ্গী প্রযুক্তিগত সমস্যা জেনেই এই বিপর্যয়। কলকাতা, হায়দরাবাদ, দিল্লি থেকে মুম্বই— দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের টার্মিনালে যাত্রীদের মালপত্র জমা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেক যাত্রীই টার্মিনালের মেঝেয় শুয়েই রাত কাটাচ্ছেন। খাবার, পানীয় জল না পেয়ে বিমানসংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। উঠেছে স্লোগানও বিভিন্ন বিমানবন্দরে।

প্রতিদিন প্রায় ২৩০০ উড়ান পরিচালনা করে ইন্ডিগো (Indigo)। দীর্ঘদিন ধরে সময়সূচি বজায় রাখছে তারা। বৃহস্পতিবারই ইন্ডিগোর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রক ও ডিজিসিএ (DGCA)। জানানো হয়, অপারেশন স্বাভাবিক করতে দ্রুত রূপরেখা তৈরি হচ্ছে।

জটিলতা হয়েছে দুই জায়গায় এক, ডিউটি রোস্টার এবং দুই, বিমান সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্তে কর্মী ছাঁটাই। ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, নতুন ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনের দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হওয়ার পরে সংস্থার ক্রু-চাহিদা বেড়েছে। আদালতের নির্দেশে ১ নভেম্বর চালু হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, রাতের ডিউটির (Night Duty) সংজ্ঞা বদলে যাওয়া এবং পাইলটদের ডিউটি (Pilot Duty) সময়ের কঠোর সীমাবদ্ধতা রোস্টারকে আরও চাপের মুখে ফেলে।

৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সময়সূচি স্থিতিশীলকরণ প্রচেষ্টা এবং ফ্লাইট হ্রাসের অংশ হিসেবে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আরও বাতিল হবে বলে জানিয়েছে ডিজিসিএ।

এদিকে প্রযুক্তিগত সমস্যাও বিপদ বাড়িয়েছে। সংস্থা সূত্রে খবর, প্রযুক্তিগত সমস্যাও রোস্টারিংয়ের ঘাটতি বাড়িয়েছে। ফলে পূর্বনির্ধারিত উড়ানের শিডিউল স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে বারবার পরিবর্তন করতে হচ্ছে।

এদিকে ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া পাইলোটস (FIP) ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ আটকে করে রেখেছে সংস্থা। ফলে অস্বাভাবিকভাবে কম কর্মী। পাইলটদের বেতন বৃদ্ধিও স্থগিত। এ সবের প্রভাবেই অপারেশন ভেঙে পড়েছে।

–

–

–


