বারবার বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বাংলায় মন্দির প্রতিষ্ঠা হলেও তিনি মসজিদ (Babri Masjid) প্রতিষ্ঠা করছেন বলে তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে – এমন মিথ্য়া প্রচার করে নিজেকে প্রচারের আলোয় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাস্তবে দল থেকে তাঁকে সাসপেনশনের (suspension) জন্য যে তাঁর নিজেরই দলবিরোধী (anti-party) আচরণ দায়ী, এই সব কথা বলে সেই সত্যিটা ঢাকার চেষ্টা করছেন তিনি। এবার তাঁকে দল থেকে সাসপেনশনের আসল কারণ ব্য়াখ্যা করলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
বাস্তবে তলে তলে দলগঠন, প্রতীক চিহ্ন নির্বাচন পর্যন্ত করে ফেলেছিলেন ভরতপুর বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এবার সংহতি দিবসকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক চাল চালার চেষ্টা করেন তিনি। তার আগেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে। তবে তাঁর বিভেদের রাজনীতির পিছনে অন্য রাজনৈতিক দলের উস্কানিকেই দায়ী করছে তৃণমূল। ধর্মের নামে যে রাজনীতি তিনি করছেন, তার ব্যাখ্যা করে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, যদি কোনও ব্যক্তি অন্য রাজনৈতিক দলের চক্রান্তের ফাঁদে পড়ে ধর্মের মোড়কে রাজনৈতিক অঙ্কে ধর্ম কেন্দ্রিক কোনও ইভেন্টকে (event) দিয়ে ভোটের রাজনীতির বিষাক্ত মেরুকরণের (polarisation) মায়াজাল তৈরি করতে চান এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেন, দল বিরোধী কাজ করেন. সাংগঠনিকভাবে দলকে পর্যুদস্ত বা বিড়ম্বনায় ফেলার চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে বিষয়টা আর ধর্মের থাকে না।
সেখানেই তিনি বিজেপি ও আরএসএস-এর গীতাপাঠের রাজনীতির প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তিনি বলেন, গীতাকে যখন পলিটিকাল মার্কেটিংয়ের (political marketing) জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় তখন আমরা গীতার বিরোধিতা করি না। ওই ইভেন্টটাকে যে রাজনৈতিকভাবে বাহুবল প্রদর্শনের মার্কেটিং (marketing) করা হয় তার প্রতিবাদ করার অবকাশ থাকে। একইভাবে কেউ মসজিদ তৈরি করছে, সেটা অন্য রাজনৈতিক দলের প্ররোচনার ফাঁদে পড়ে একটা রাজনৈতিক ইভেন্ট হয়ে যায়, তখন তার প্রতিবাদ করার অবকাশ থাকে।
আরও পড়ুন : হুমায়ুনের বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মামলায় হস্তক্ষেপ করল না আদালত, নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্যের
বাস্তবে বাংলায় তৃণমূলের শাসনকালে বিভিন্ন ধর্মকে স্বীকৃতি দিয়ে ধর্মের উপাসক ও উপাসনাস্থলের পাশে বারবার দাঁড়িয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। আর সেখানে হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) মসজিদ তৈরির জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়ার যে দাবি করছেন হুমায়ুন, তার মিথ্যাচার ফাঁস করেন কুণাল ঘোষ। বাস্তবে শনিবার সকাল থেকে বেলডাঙায় (Beldanga) মসজিদ প্রতিষ্ঠার জায়গায় যেভাবে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন, তাতেই প্রমাণিত ধর্মীয় স্থানে কখনও বাংলার প্রশাসন হাত দেয় না। মানুষের ধর্মীয় আবেগকে আঘাত করা বাংলার সংস্কৃতি নয়। কুণালের স্পষ্ট দাবি, মসজিদ (Babri Masjid) তৈরির জন্য বহিষ্কার (suspend) একদম মিথ্য়া কথা। কোনও আরাধ্য স্থান তৈরির জন্য তৃণমূল ব্যবস্থা নেয়নি, ব্যবস্থা নেবে না।
–
–
–
–
–
