এসআইআর সংক্রান্ত কাজ পর্যালোচনা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদলের সদস্য সি মুরুগান। বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটা নাগাদ কমিশনের রোল অবজারভার ফলতার বিডিও অফিসে পৌঁছে প্রথমে বয়স্ক ভোটারদের তালিকা যাচাই করেন। বিডিও শানু বক্সিকে সঙ্গে নিয়ে পরে তিনি সোজা যান দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পায়রাচালি এলাকায়।
অবজারভার ৮৫, ৮৬ এবং ৮৭ নম্বর বুথের আওতাধীন এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে বয়স্ক ভোটারদের হাজিরা ও জীবিত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখছিলেন। সেই সময়ই হঠাৎই কয়েকজন মহিলা কর্মী তাঁকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কেন তাঁদের আবাসনের বাড়ি তৈরি হয়নি, কেন ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ—এই দাবিগুলি জানিয়ে স্লোগান তোলেন তাঁরা। পরিস্থিতি কিছুক্ষণ উত্তপ্ত থাকলেও প্রশাসন সূত্রে খবর, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তোলা হয়নি।

সি মুরুগান বলেন, “আমি এখন এ বিষয়ে কিছু বলব না।” অন্যদিকে ফলতার বিডিও শানু বক্সি জানান, অবজারভার প্রায় পঞ্চাশ-ষাট জন ইলেকট্রোল অফিসারের কাজ খতিয়ে দেখেছেন। তাঁর বক্তব্য, মহিলারা প্রকৃতপক্ষে বিক্ষোভ দেখাননি—তাঁরা ভেবেছিলেন কেন্দ্রের অন্য কোনও দফতরের দল এসেছে, সেই ভুল ধারণায় নিজেদের দাবি-দাওয়া জানাচ্ছিলেন। দিনের ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হলেও নির্বাচন কমিশনের কাজকর্ম কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয় বলেই জানিয়েছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন- পরিস্থিতির দোহাই: তাজপুর বন্দর থেকে সরে যাওয়া নিয়ে সৌগতকে বার্তা আদানির

_

_

_

_

_

_
_


