বছর ঘুরে যায় তবু শত অভিযোগের পরেও এই ঘটনার কোন পরিবর্তন হয়নি। এমনকি এই নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের বিশেষ কোন উদ্যোগও চোখে পড়েনি যাত্রীদের। একা সফর করা নিশ্চিন্তের হলেও বিহারের ট্রেনে (Bihar Train Incident) বিপাকে পড়লেন এক মহিলা যাত্রী। প্রথম দিকে সব ঠিক থাকলেও বিহারের কাটিহার জংশনে ট্রেন থামার পর থেকেই বদলে গেল পরিস্থিতি। হঠাৎ করে তাঁর কোচে ৩০–৪০ জন তরুণ ঢুকে পড়ে আর সেই পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক হয়ে ওঠে যে আতঙ্কে শেষ পর্যন্ত ট্রেনের শৌচালয়ে আশ্রয় নিলেন এক মহিলা।
এরপরেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ওই মহিলা জানান, ট্রেনটি কাটিহার জংশনে থামার সময় তাঁর কোচে হঠাৎ করেই চিৎকার, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। সেই সময় তিনি শৌচালয়ে ছিলেন এবং বাইরে বেরোনোর সময় দেখতে পান হঠাৎ প্রায় ৪০ জন যুবক কোচে ঢুকে পড়ে, দরজার সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। ভিড় এতটাই ছিল যে তিনি শৌচালয়ের দরজা পুরোপুরি খুলতেই পারছিলেন না। একা ছিলেন তাই নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি এবং দরজা বন্ধ করে ভেতরেই থেকে গেলেন তিনি। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে অবশেষে রেলওয়ে হেল্পলাইন ১৩৯-এ ফোন করেন তিনি। আরও পড়ুন: ভাইয়ের খুনের বদলা? তৃণমূল নেতার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
তিনি লিখেছেন, “আজ বুঝলাম কেন ভ্রমণের সময় নিরাপত্তা নিয়ে মানুষের এত উদ্বেগ । আমি একা বেরিয়েছিলাম এবং আমার ট্রেন কাটিহার জংশনে থামতেই আচমকা ৩০–৪০ জন তরুণ কোচে ঢুকে পড়ে – চিৎকার করতে করতে, একে অপরকে ধাক্কা দিতে থাকে।” ইতিমধ্যেই ওই মহিলার শৌচালয়ের ভিতর থেকে করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। তিনি লিখেছেন,“আমি শৌচালয়ে ছিলাম, বাইরে বেরোনোর জায়গাই ছিল না। দরজার সামনে মানুষ গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে। তাই আবার দরজা বন্ধ করে রেলওয়ে হেল্পলাইনে ফোন করি। সৌভাগ্যবশত, কিছুক্ষণের মধ্যেই RPF এসে পৌঁছে কিছুটা হলেও বিষয়টা সামলে নেয়।”
মহিলার এই পোস্ট এর পরেই একা মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা, ট্রেন ও স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে মহিলার উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করেছেন তবে বেশিরভাগ মানুষ রেলে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কটাক্ষের মুখে পড়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের ট্রেনে একা মহিলা যাত্রী কতটা নিরাপদ আর সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেল কতটা প্রস্তুত?
–
–
–
–
–
–
