আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে (R G Kar Medical College And Hospital) চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের মামলার এবার নতুন মোড়। দীর্ঘদিন ধরেই সুপ্রিম কোর্টের (Supume Court) নজরদারিতে চলছিল মামলা। এখন দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে কলকাতা হাই কোর্টে (Calutta High Court)।
বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench) নির্দেশ দিয়েছেন, মামলার সব নথিপত্র কলকাতা হাই কোর্টে পাঠানো হবে।পাশাপাশি, নির্যাতিতা চিকিৎসক-ছাত্রীর বাবা-মাকে মামলার ‘স্টেটাস রিপোর্ট’-এর একটি কপি দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

গত বছর ৯ অগাস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে (R G Kar Medical College And Hospital) চিকিৎসক-ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদহ আদালত। ২০ জানুয়ারি বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁকে আজীবন কারাবাসের সাজা দেন। তবে, মামলা চলাকালীন একাধিক আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। পর্যবেক্ষণে উঠে আসে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের হাসপাতাল অনুপস্থিতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের পর এবছর ২০ অগাস্ট কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জাতীয় টাস্ক ফোর্স (NTF) গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

তবে মৃতার বাবা-মা শিয়ালদহ আদালতের (Sealdah Court) রায়ের আগেই CBI তদন্ত নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলায় মামলা শুনতে চাননি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এর পরে একই আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জানান নির্যাতিতার মা-বাবা। সেই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না স্পষ্ট করেন, একই আবেদনের ভিত্তিতে দুই আদালতে একসঙ্গে শুনানি চলতে পারে না—হয় হাইকোর্ট, নয়তো সুপ্রিম কোর্ট।
আরও খবর: যুবভারতী স্টেডিয়ামে SIT, শামিমরা ঘুরে দেখলেন ঘটনাস্থল

দীর্ঘ শুনানির পরে এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম এম সুন্দ্রেশ ও বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার নির্দেশ দিয়েছে এবার থেকে কলকাতা হাই কোর্টেই হবে আরজি কর মামলার শুনানি। এই শুনানি করার জন্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি একটি স্বতন্ত্র বেঞ্চ গঠন করবেন বলেও জানান শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি। এই মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ ও বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ ৷ আদালত জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের হাতে এই মামলা পাঠানো তারা ঠিক মনে করছে। নির্যাতিতার বাবা, মাকে মামলার স্টেটাস রিপোর্ট দিতে হবে, বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে আদালত সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে, তদন্ত সংক্রান্ত যাবতীয় স্টেটাস রিপোর্ট আদালত ও ছাত্রীর পরিবারকে পাঠাতে হবে।

–

–

–

–

–


