মৃত্যুর পরে মানুষ কোথায় যায়—স্বর্গে না নরকে? এই প্রশ্নে যুগে যুগে মানুষের কৌতূহল যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে তর্ক-বিতর্কও। কেউ বলেন, স্বর্গ মানেই অফুরন্ত আনন্দ আর শান্তি। আবার কারও কল্পনায় নরক মানে শাস্তি আর যন্ত্রণা। যুক্তি আর কল্পনার এই দোলাচলে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞান অবশ্য আজও কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলছে—‘প্রমাণ নেই!’
তবে মাঝেমধ্যেই এমন কিছু অভিজ্ঞতার গল্প সামনে আসে, যা এই চিরাচরিত বিতর্কে নতুন করে ঘি ঢালে। ঠিক যেমনটা দাবি করেছেন ইংল্যান্ডের ৬৮ বছরের বাসিন্দা শার্লট হোমস। চিকিৎসকদের মতে, তিনি ছিলেন ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’—পুরো ১১ মিনিট! কিন্তু সেই ১১ মিনিট নাকি তাঁর জীবনের সবচেয়ে ‘সুন্দর’ অভিজ্ঞতা। আরও পড়ুন: শ্যুটিং ফ্লোর থেকে সোজা হাসপাতাল, দ্বিতীয়বার পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন ভারতী

নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষার সময় আচমকাই বেড়ে যায় শার্লটের রক্তচাপ। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা সত্যি করে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। হৃদ্যন্ত্র থেমে যাওয়ায় তাঁকে মৃত বলেই ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ১১ মিনিট পর সবাইকে চমকে দিয়ে জানান, তিনি স্বর্গের অনুভূতি উপভোগ করতে পেরেছেন। তিনি জানান, নিথর হয়ে পড়ে থাকলেও চারপাশের ব্যস্ততা তিনি টের পাচ্ছিলেন। তারপর হঠাৎ করেই দৃশ্যপট বদলে যায়। কানে ভেসে আসে মৃদু সুর, বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে অদ্ভুত সুন্দর ফুলের গন্ধ। চোখ মেলতেই তিনি নিজেকে আবিষ্কার করেন এক শান্ত, আলোয় ভরা জগতে—যাকে অনায়াসেই ‘স্বর্গ’ বলা যায়। সেখানে নেই কোনও ভয়, নেই দুশ্চিন্তা, নেই হাসপাতালের রিপোর্ট! শার্লটের দাবি, সেই স্বর্গীয় পরিবেশে তিনি দেখা পান তাঁর প্রয়াত বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। এমনকি বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক শিশুর সঙ্গেও নাকি তাঁর সাক্ষাৎ হয়। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটি ছিল শান্তি আর ভালোবাসায় মোড়া। এই অভিজ্ঞতার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল শুরু হয়েছে। (ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ববাংলা সংবাদ।)

–

–

–

–

–

–

–


