লগ্নজিতার হেনস্থার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের হেনস্থার শিকার মধুবন্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিক্ত অভিজ্ঞতার জানিয়েছেন জনপ্রিয় গায়িকা মধুবন্তী মুখোপাধ্যায় (Madhubanti Mukherjee)। যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে রীতিমত ভাইরাল। যদিও কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ পুরো ঘটনাটিকে অস্বীকার করেছেন।

গায়িকার দাবি, গত রবিবার নদিয়ার মাজদিয়ার একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। সেখানে সাহা আব্দুল করিমের রাসলীলা নিয়ে লেখা ‘তোমার কুঞ্জ সাজাও গো’ গানটি গাইছিলেন তিনি। ঠিক তখনই দর্শক আসন থেকে একজন তেড়ে আসেন। সোজা স্টেজের উপর এসে গায়িকার হাত থেকে মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নিয়ে বলেন, ‘আমরা এই জাতপাত, ধর্মের গান শুনব না। অন্য গান করুন।’ গায়িকা জানিয়েছেন, প্রায় ১৮ বছর ধরে মঞ্চে গান গাইছেন তিনি। কিন্তু এতদিনে তাঁকে এই ধরণের তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়নি। তিনি জানান, সেদিন যা হয়েছে, তা সত্যিই খুব খারাপ। একজন শিল্পীর নিজের কাজ করার স্বাধীনতা থাকা উচিত।

তবে একই সঙ্গে আয়োজকদের প্রশংসাও করেছেন মধুবন্তী। তিনি জানান, ঘটনার পর আয়োজকরা দায়িত্বশীল আচরণ করেছেন এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন, ওখানকার আয়োজকরা আসলে খুব ভাল ছিলেন। ঘটনার পর তাঁদের ভূমিকা প্রশংসনীয় ছিল।” মধুবন্তী জানিয়েছেন, “আমি স্টেপ নিতাম, কিন্তু নিইনি। কারণ কমিটির সদস্য গৌতম বিশ্বাস স্টেজে এসে বলেন, যার গান শোনার ইচ্ছে নেই, তিনি বেরিয়ে যেতে পারেন। সঙ্গীতশিল্পী তাঁর মনের মতো গান পরিবেশন করবেন। তাতে কারও আপত্তি থাকলে সোজা বেরিয়ে যান।” আরও পড়ুন: গ্রামে ফিরল জুয়েলের দেহ, পাশে থাকার বার্তা তৃণমূলের
তবে ভক্তিগীতি পরিবেশন নিয়ে কয়েকদিন আগে হেনস্থার শিকার হয়েছেন লগ্নজিতা। তার রেশ কাটটেই না কাটতেই এই ঘটনা। গায়িকা বলেন, “কেন শিল্পীদের বারবার এমন বিরোধিতার মুখে পড়তে হবে? ধর্মের গান শুনব না, জাতপাতের গান শুনব না, সেকুলার গান গাইতে হবে…আমি জানি না, সেকুলার গান কাকে বলে? সময় থাকতে সতর্ক হন…কোনও দিন হয়তো আমাদের গান গাওয়াই বন্ধ করে দেবে।”

–

–

–

–

–

–


