নির্বাচন আসন্ন। তার মধ্যেই খুন নির্বাচনের প্রার্থী তথা বাংলাদেশের জনপ্রিয় নেতা ওসমান হাদি। খোদ হাদির পরিবার এর পরে বাংলাদেশে এই অরাজকতার জন্য দায়ী করেছে মহম্মদ ইউনূসের (Mohammed Yunus) অন্তর্বর্তী সরকারকে। অবশেষে বিবৃতি জারি করার পরিবর্তে প্রকাশ্যে বক্তব্য পেশ করল ভারত সরকার। যেভাবে ক্রমাগত বাংলাদেশে (Bangladesh) ভারত বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে, তার পাল্টা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের (minority) উপর অত্যাচারের খতিয়ান পেশ করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA)।

ভারত থেকে উস্কানির অভিযোগে বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছে ভারতের ভিসা দফতর। তাতে পদক্ষপ নেওয়ার পরিবর্তে ভারতে বাংলাদেশ বিরোধী প্রতিবাদের জবাব তলব করতেও পিছপা হয়নি মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন। নিজেদের দেশে যেভাবে একের পর এক হিংসা ঘটনা ঘটে চলেছে, তা থামাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ প্রশাসন ভারতের নামের গাজর ঝুলিয়ে মৌলবাদীদের উস্কানি দিয়ে চলেছে অন্তর্বর্তী সরকার (Interim Government)।

বাংলাদেশে এই সব প্রচারের পাল্টা শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল (Randhir Jaiswal, Spokesperson) স্পষ্ট করে দেন, বাংলাদেশে বহু ভুল বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। আমরা সেই সব বার্তাকে নস্যাৎ করেছি। বাংলাদেশে যে ধরনের নিরাপত্তায় গাফিলতি বা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব।
এতদিন বাংলাদেশ প্রশাসন বারবার প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়েছে ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাসের খুনের ঘটনা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর বিপদের উদাহরণ নয়। সেখানেই পাল্টা নিজের দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকারকে ভারতের চাপ এদিন সংখ্যালঘু ইস্যুতে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের দাবি, আমরা সবাই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানি। আমরা নজর রাখছি। সময়ে সময়ে সে সম্পর্কে বক্তব্য রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশে ফের গণপিটুনিতে মৃত যুবক: গ্রেফতার নিহতেরই সঙ্গী!

পাশাপাশি বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতির খতিয়ান তুলে রণধীর জয়সওয়াল দাবি করেন, সংখ্যালঘুদের উপর অবিরাম হিংসার ঘটনা ঘটছে। হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধদের উপর মৌলবাদীদের হামলা চলছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। ময়মনসিংহে এক যুবককে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। আশা করব সেই ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ২৯০০-র বেশি সংখ্যালঘুদের (minority) প্রতি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে খুন থেকে লুটপাট, জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে এই অন্তর্বর্তী সরকারে (interim government) আমলে। এইসব ঘটনাকে মিডিয়ার অতিশয়োক্তি বলে বা রাজনৈতিক সংঘর্ষ বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।

–

–

–

–


