Friday, December 26, 2025

শুনানি পর্ব শুরুর আগে রাজ্যে ৩ নাগরিক মৃত্যু: কাজের চাপে ১ BLO-র মৃত্যুর অভিযোগ

Date:

Share post:

নির্বাচন কমিশন এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করার পর থেকেই রাজ্যের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক জারি। শুক্রবার পর্যন্ত বিভিন্নভাবে ভোটার থেকে বিএলও মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৪৬ জনের। শনিবার খসড়া তালিকা প্রকাশ পরবর্তীতে শুনানি প্রক্রিয়া শুরু। আর তার আগেই একদিনেই একসঙ্গে চার সহনাগরিকের মৃত্যু হল। কারো মৃত্যু দুশ্চিন্তায় হৃদরোগে আক্রান্ত (heart attack) হয়ে, কেউ আতঙ্কে আত্মহত্যা (suicide) করলেন।

উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের (Goalpokhar) বাসিন্দা আবদুল মুত্তালিবের খসড়া ভোটার তালিকায় (draft voter list) নাম ওঠা নিয়ে সংশয় ছিল। তাঁর কাছে বিভিন্ন নথি চেয়ে পাঠানো হয়। বারবার নথি নিয়ে বিভিন্ন দরবারে হাজির হলেও তার ভোটার তালিকায় নাম ওঠা নিশ্চিত হয়নি। শনিবার শুনানি শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া নিয়ে পরিবারের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আবদুল। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাতে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয় সে।

মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার (Hariharpara) বাসিন্দা নিমাই মালের খসড়া ভোটার তালিকায় নাম প্রকাশের পরে চরম সমস্যায় পড়েন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর পদবী (surname) ছিল রায়। কিন্তু বাস্তবে তিনি মাল। ফলে পদবী কীভাবে বদলে পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকায় জায়গা পাবেন তিনি, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। স্থানীয় বিএলও-র কাছে নথি জমা দিলেও নিশ্চিত হতে পারছিলেন না। বৃহস্পতিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার অভিযোগের আঙুল তুলেছে নির্বাচন কমিশনের দিকেই।

আবার কমিশনের নোটিশ হাতে পাওয়ার পরে মৃত্যু হল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা (Chandrakona) দু’নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুরের বাসিন্দা আলম খানের। আলম খানের ২০০২ ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। ফর্ম পূরণের সময় তিনি ২০০২ সালে কোনও আত্মীয়ের নাম ভোটার তালিকায় ছিল বলে উল্লেখ করেননি। ফলে ২৯ ডিসেম্বর তাঁকে শুনানিতে (hearing) তলব করা হয়। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন : কমিশনের শুনানি শনি থেকে: শুধু আধারকে নথি মানছে না EC

ভোটারদের পাশাপাশি এসআইআর আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়ছে না বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO)। বিএলও অ্যাপ (BLO app) নিয়ে আজও জারি রয়েছে বিভ্রান্তি। তার জেরেই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার (CHopra) বাসিন্দা এক বিএলও-র মৃত্যু হল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। বিপিন টোপ্পো নামে ওই স্কুল শিক্ষকের পরিবারের দাবি, তিনি কয়েকদিন ধরেই কাজের চাপে ছিলেন। কিন্তু প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারতেন না। এই ঘটনার পরে রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি দেখা করেন শিক্ষকের পরিবারের সঙ্গে। তিনি দাবি করেন, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমার এই মৃত্যুর জন্য দায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

spot_img

Related articles

খালেদা-পুত্র তারেকের হাতেই কি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের চাবি? কোন পথে সমর্থন

কী হবে বাংলাদেশের (Bangladesh) ভবিষ্যৎ? খালেদা-পুত্র তারেক রহমানই (Tarek Rahman) কি আগামী প্রধানমন্ত্রী? এখন এই জল্পনাই এশিয়ার রাজনৈতিক...

সেনাবাহিনীকে জল-লস্যি খাইয়ে জাতীয় পুরস্কার! ভাবতেই পারেনি শ্রবণ

চারিদিকে যখন তখন পাকিস্তানের ড্রোন, মিসাইলের ভয়। আর সবাই যখন ভয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করেছিলেন, তখন ছোট্ট শ্রবণ...

সিরিজ জয়ের দিনেই হরমনপ্রীতের রেকর্ড, ধাক্কা কাটিয়ে রানে ফিরতে ব্যর্থ স্মৃতি

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি২০  ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতল ভারতীয় মহিলা দল। সেই সঙ্গে সিরিজও জিতে নিল ভারত। তবে...

বাংলাদেশ হাই কমিশন ভয় পেয়েছে শুভেন্দুকে! শহরে ফের হাঙ্গামায় দিল্লির রাস্তা দেখালো তৃণমূল

বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশকে ইস্যু করে ধর্মীয় বিভাজনে তৎপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই যে কোনওভাবে বাংলাদেশের...