“এসআইআর কী বলছে?/ ঝাড়াই-বাছাই চলছে…” কয়েক মাস আগে ব্যাঙ্গাত্মক সুরে গান গিয়েছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। এবার সেই গানের লাইন গুলো যেন নিজের জীবনেই ফিরে এলো অভিনেতার। এবার সেই অনির্বাণ ভট্টাচার্যেরই ডাক পড়ল এসআইআর শুনানিতে। জানা গেছে, ২০০২ সালের তালিকায় নাম নেই অভিনেতা, গায়ক তথা পরিচালকে।।
নিজের ব্যাঙ্গাত্মক সুরে গাওয়া গান যে এভাবে নিজের জীবনেই বাস্তবায়িত হয়ে ফিরে আসবে, সেকথা মনে হয় ভাবতে পারেননি অভিনেতা! রাজ্যজুড়ে এসআইআর পর্বের কাজ শেষ হয়ে প্রথম পর্বের শুনানির কাজ শুরু হয়েছে। আর তাতেই ডাক পেয়েছে অনির্বাণ।

শোনা গিয়েছে, এনুমারেশন ফর্মে ২০০২ সালের কোনও তথ্য দিতে পারেননি তিনি। কারণ সে সময়ের ভোটার তালিকায় অভিনেতার মা-বাবা কিংবা ঠাকুরদা, ঠাকুমা কারও নাম নেই। কিন্তু পঁচিশ সালের ভোটার তালিকায় রয়েছে অনির্বাণের মা-বাবার নাম। তবে এই বছরের জুলাই মাসে বাবা মারা গিয়েছে অভিনেতা-পরিচালকের। আর সে জন্যই শুনানিতে ‘কাগজ দেখানো’র ডাক পড়েছে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের।

মেদিনীপুরের গ্রামের ছেলে অনির্বাণ ভট্টাচার্য। বর্তমানে কাজের জন্য তিনি কলকাতার গড়িয়াতে থাকেন পরিবারের সঙ্গে। কিন্ত তার নাম আছে মেদিনীপুরের ভোটার তালিকায়। নির্বাচন কমিশন মারফৎ জানা, অভিনেতা ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ২৯৯ নং বুথের ভোটার। তাঁর জেঠু বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, “২০০২ সালে তাঁর ভাই অর্থাৎ অনির্বাণের বাবা প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য কেন ভোটার তালিকায় নাম তোলেননি, সেটা তাঁর অজানা। তবে অভিনেতার দাদু-ঠাকুমা প্রয়াত হওয়ায় সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তাঁদের নাম।” আরও পড়ুন: সুরের মঞ্চে ইটবৃষ্টি: জেমসের ওপর হামলায় উত্তাল দুই বাংলা
তাঁর জেঠু এখনও মেদিনীপুরেই থাকেন। ্তাই তিনিই এই বিষয়টা দেখছেন বলে জানিয়েছে অভিনেতা। এদিকে বিদ্যুৎবাবুর বলেছেন, “এলাকার তিনটি বুথে ঘুরেও কোনও ভোটার তালিকায় ভাইয়ের নাম পাইনি। সেসময়ে তো এত জটিলতা ছিল না। তবে এবারের ভোটার তালিকায় যাতে অনির্বাণ এবং পরিবারের সকলের নাম থাকে, সেটা দেখছি। তাছাড়া অনির্বাণের পাসপোর্ট-সহ একাধিক নথি রয়েছে। বিএলও’র সঙ্গে কথা হয়েছে এই বিষয়ে। কমিশন যে নথি চাইবে, সেটাই দেখাব।”

এই বিষয়ে বিজেপি নেতা শঙ্কর গুছাইত বলেন,” এসআইআর একটি পদ্ধতি। এখানে যেকোনও মানুষকে হিয়ারিংয়ের জন্য ডাকা হতে পারে। তিনি গায়ক কিংবা যেকোনও পেশার মানুষ হতে পারেন। ঠিকমতো লিঙ্ক না থাকলে ডাকা হতে পারে।” অন্যদিকে অনির্বাণ জানান, “ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। তাই শুনানিতে ডাক পেলে নিশ্চয়ই যথাযথ নথিপত্র নিয়ে হাজির হবেন।”

–

–

–

–

–


