25-এ শুরু, 88 বছর বয়সেও ড্রাগ ডিলার, পুলিশের ফাঁদে রাজরানি

রাজধানীর সবচেয়ে বয়স্ক ড্রাগ ডিলার এবার পুলিশের ফাঁদে। এটা অবশ্য প্রথমবার নয়, এ নিয়ে 10 বার গারদের পেছনে রাজরানি টোপিল। তবে 88 বছরের এই ড্রাগ ডিলার এবার জানালেন কেন 25 বছর বয়স থেকে তিনি এই পথেই চলতে শুরু করেছেন। বুধবার নিউ দিল্লির ইন্দ্রপুরী এলাকা থেকে রাজরানিকে 16 গ্রাম ড্রাগ- সহ গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।

জেরার সময় তিনি জানান হরিয়ানার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম থেকে খুব ছোট বয়সে তাঁকে বিয়ে দিয়ে পাঠানো হয় ইন্দ্রপুরী এলাকাতে। তাঁর বরও ড্রাগ ডিলিংয়ের ব্যাবসাতে যুক্ত ছিলেন। সে সময় থেকেই দারিদ্রের সাথে লড়াই চলতে থাকে তাঁর। 90 এর দশকের গোড়ায় বর মারা যান রাজরানির। সাত সন্তানকে নিয়ে তাঁর লড়াই আরও কঠিন হয়ে পড়ে। ড্রাগের দুনিয়াকেই বেছে নেন তিনি। এই রাস্তা বেছেছিলেন যে সন্তানদের জন্য, সেই সাত সন্তানের ছজনের কেউ মারা গেছেন ড্রাগের নেশায়, কেউ বা নেশার ঘোরে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। আপাতত এক সন্তান বেঁচে আছেন রাজরানির।

আরও পড়ুন-গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে নিম্নচাপ, চলবে বৃষ্টি

তবু এই বৃদ্ধা পেট চালাতে এই পেশাকেই আঁকড়ে রয়েছেন। পুলিশ বলছে পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ থেকেই তাঁর কাছে আসত এই নেশার জিনিস। খুব অল্প পরিমাণে তাঁর কাছে এই ড্রাগ আসত শুরুর দিকে। পরে ধীরে ধীরে তিনি পসার বাড়ান। পশ্চিম দিল্লির ডিএসপি মনিকা ভরদ্বাজ বলছেন, একটা টোপ দিয়ে রাজরানিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। বয়স 88 হলেও এই পেশায় যথেষ্ট দক্ষ তিনি। নারকোটিক্স ডিপার্টমেন্টের কাছে খবর ছিলই যে, এবার ইন্দ্রপুরীর কাছে বেশ বেশি পরিমাণে ড্রাগ নিতে এই বৃদ্ধা আসবেন। সেই মতো জাল ছড়ানোই ছিল। নারকোটিক্স ডিপার্টমেন্টের লোকজন গিয়ে তাঁর থেকে ড্রাগ কিনতেও চান। সে সময়েই তাঁকে 16 গ্রাম ড্রাগ-সহ হাতেনাতে ধরা হয়।

নারকোটিক্স আইন অনুযায়ী আপাতত রাজরানির ঠিকানা সংশোধনাগার। তবে এই গারদের পিছনে থাকা তাঁর প্রথমবার যেহেতু নয়, তাই তাঁর মধ্যে সেই অর্থে কোনও অস্বস্তি নেই। আগের 9 বারই তিনি জামিনে বাইরে বেরিয়ে ছিলেন। তাঁকে এ মুহূর্তে দুজন তরুন তুর্কিও সাহায্য করেন, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।

আরও পড়ুন-মোবাইল পরিষেবা চালু 5 জেলায়, ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে কাশ্মীর

 

Previous articleগাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে নিম্নচাপ, চলবে বৃষ্টি
Next articleফের রাজ্য সফরে আসছেন মোহন ভাগবত