Saturday, November 15, 2025

মমতার পদযাত্রা, শেষ মুহূর্তে অতিতৎপরতায় বিতর্ক টানল প্রশাসনের একাংশ

Date:

Share post:

NRC-র বিরুদ্ধে এ রাজ্যে তৃণমূলের আন্দোলনে রাস্তায় নামছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল,

বৃহস্পতিবার বিকেলে সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত হাঁটবেন মমতা।

পদযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন যখন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, তখন তাঁর নিরাপত্তার দিকটিও মাথায় রাখতে হচ্ছে প্রশাসনকে। কিন্তু এ ব্যাপারে প্রশাসনিক কিছু পদক্ষেপ ঘিরে ইতিমধ্যেই তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। সমালোচনার তির স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। কিন্তু সরকারকে এভাবে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সামনে ফেলার দায় সম্পূর্ণভাবেই পুলিশ এবং পূর্ত দফতরের শীর্ষকর্তাদের। তৃণমূলের অন্দরের প্রতিক্রিয়া, বিতর্কিত
প্রশাসনিক পদক্ষেপের কারনেই সাধারন মানুষের কাছে সরকার সম্পর্কে ভুল বার্তা যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই পদযাত্রার জন্য পূর্ত দফতর ফৌজি তৎপরতায় যে টেণ্ডার নোটিশ জারি করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, উত্তর কলকাতার সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে 4 কিলোমিটার রাস্তায় তৈরি হচ্ছে বেনজির নিরাপত্তা বেষ্টনী। কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর কোনও কর্মসূচি নিয়ে অতীতে কখনই এমন প্রশাসনিক সক্রিয়তা নজরে আসেনি। আর সরকারি এই অহেতুক অতি-সক্রিয়তার কারনে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তার মাশুল দিতে হচ্ছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে। তৃণমূল অন্দরের বক্তব্য, কলকাতায় অজস্র পদযাত্রা করেছেন সুপ্রিমো। কখনই প্রশাসনের এতখানি সক্রিয়তা দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবারের পদযাত্রা নিয়ে এমন সিদ্ধান্তের পিছনে অনেকে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ আনতেও ছাড়ছে না।

জানা গিয়েছে, পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই 4.6 কিলোমিটার রাস্তার দুপাশে শক্ত ব্যারিকেড দেওয়ার জন্য টেন্ডার ডেকেছে পূর্ত দফতর। বুধবার দুপুরে টেন্ডার ডেকে পূর্ত দফতর বলেছে, বিকেলের মধ্যে আবেদন জমা দিতে হবে। যে সংস্থা বরাত পাবে, তাদের কাজ শেষ করতে হবে বৃহস্পতিবার সকাল 10টার মধ্যে। অর্থাৎ ফৌজি তৎপরতাকেও হার মানাতে হবে। বুধবার রাতভর চলবে ব্যারিকেড দেওয়ার কাজ।আর এই টেন্ডার ডাকা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারো প্রশ্ন, কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটতে পারে, এমন আগাম খবর কি পুলিশের কাছে এসেছে? তা নাহলে এমন তৎপরতা কেন ? পদযাত্রা চলাকালীন রাস্তার ধার থেকে কেউ মুখ্যমন্ত্রীর দিকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে সিএম-সিকিউরিটি-ই সে সব সামলাতে পারে। এতদিন তো তেমনই দেখা গিয়েছে। তাহলে এভাবে ব্যারিকেড কেন? ব্যারিকেড নিয়ে নবান্ন বা পুলিশ এখনও মুখ খোলেনি। অনেকের মতে রাস্তায় সংঘাতের আশঙ্কাতেই এই বাড়তি সতর্কতা।
অনেকে আবার এ-ও বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে অন্ধকারে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অথচ সমালোচিত হচ্ছে রাজ্য সরকার।

spot_img

Related articles

শনির সকালে বড়বাজারে ভয়াবহ আগুন, এজরা স্ট্রিটে জ্বলছে একের পর এক বিল্ডিং! 

সকালের আলো ভালো করে ফোটার আগেই শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শনিবার এজরা স্ট্রিটের ইলেকট্রিক সামগ্রীর দোকানে বিধ্বংসী আগুন থেকে...

বাজেয়াপ্ত করা বিস্ফোরকেই বিস্ফোরণ! জম্মু ও কাশ্মীরের নওগাম থানায় আহত অন্তত ৮

দিল্লি বিস্ফোরণের প্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি, হরিয়ানা পুলিশ ও জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ (Jammu and Kashmir police) লাগাতার...

জনজাতীয় গৌরব দিবস: বীরসা মুন্ডার জন্মদিনে শ্রদ্ধা ও আদিবাসী ঐতিহ্য উদযাপন

সি পি রাধাকৃষ্ণণ, ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি আজ আদিবাসী আন্দোলনের অন্যতম নেতা বীরসা মুন্ডার (Birsa Munda) জন্মদিবস। এই দিনটিকে জনজাতীয় গৌরব...

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...