Monday, December 29, 2025

উপাচার্যকে কাঠগড়ায় তুলে তোপ দাগলেন মন্ত্রী সুব্রত

Date:

Share post:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার জন্য সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকেই দায়ী করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সুব্রতর বক্তব্য খুবই স্পষ্ট, উপাচার্যের ভুল সিদ্ধান্ত বা দুর্বলতার কারনেই যাদবপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। পঞ্চায়েত মন্ত্রীর সাফ কথা, “উপাচার্য সঠিক সময়ে পুলিশকে ডাকেননি৷ উনি পুলিশ ডাকলে, ঘটনাটা এতটা বাড়ত না৷ প্রশাসনকেও এভাবে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হতো না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে সরাসরি অভিযুক্ত করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘উনি উপাচার্য ৷ ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকার অধিকার একমাত্র ওনার রয়েছে৷ উনি না ডাকলে মুখ্যমন্ত্রীরও ক্ষমতা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ পাঠানোর। উনি সঠিক সময়ে পুলিশ ডাকলে ঝামেলা এতটা বাড়তেই পারতো না৷ আমাদের প্রশাসন তো সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পারেনি৷ এই ঘটনায় উনি কখনওই দায় এড়াতে পারেন না৷’’
এখানেই থামেননি সুব্রত, যাদবপুরের ঘটনার জন্য রাজ্যপাল ও বাবুল সুপ্রিয়’র বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়’র যাদবপুরে যাওয়া, ঘেরাও হওয়া এবং তাঁকে উদ্ধার করতে রাজ্যপালের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া, সবই পরিকল্পিত নাটক৷ চিত্রনাট্য আগেই তৈরি ছিলো৷ একইসঙ্গে, ঘটনায় জড়িত পড়ুয়াদের কঠোর শাস্তিরও দাবি করেছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী৷
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো অভিজ্ঞ এবং প্রবীণ মন্ত্রীর এই বক্তব্যে
অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল৷ দলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘এটা একদমই তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য, দলের নয়৷’’

শুধু পঞ্চায়েত মন্ত্রীই নন, রাজ্য মন্ত্রিসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যেরই এই একই বক্তব্য। অন্য মন্ত্রীরা মুখ খুলতে না পারলেও সুব্রত মুখোপাধ্যায় তা পেরেছেন। রাজ্যের অধিকাংশ শিক্ষাবিদের বক্তব্যও একই। পুলিশ না ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে উপাচার্য এতটাই
নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছেন, যার জেরে সরকার অস্বস্তিতে পড়েছে, রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জবরদস্ত প্রচার পেয়েছেন এবং বিজেপির ছাত্র সংগঠন প্রবলভাবে অস্তিত্ব জানান দিয়েছে। যাদবপুরের অধিকাংশ শিক্ষকদের বক্তব্যও প্রায় একই। তাঁদের অভিমত, “ সেদিন আরও বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। সে রকম ঘটনা ঘটলে গোটা দেশের কাছে মুখ পুড়তো যাদবপুরের। প্রতিষ্ঠানের গরিমা বজায় রাখার দায়িত্ব উপাচার্যের। তিনি সে পথে না হেঁটে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করেছেন”।

spot_img

Related articles

সংস্কার, গতিশীলতা ও সিদ্ধান্ত: ২০২৫-এ যে পথে ভারতের অর্থনীতি

গত পাঁচ বছরে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রতিকূল ঘটনাবলী ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ২০২৫-এ...

মঙ্গলে বাঁকুড়ায় মমতা, SIR আবহে নির্দেশের অপেক্ষায় নেতা-কর্মীরা

বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য জুড়ে যখন এসআইআর ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ, ঠিক সেই আবহেই মঙ্গলবার...

বিশেষ সংশোধনীতে প্রবীণ ভোটারদের স্বস্তি! শুনানিতে হাজিরার বাধ্যবাধকতা নয় 

রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রবীণ, গুরুতর অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের শুনানিতে হাজির হতে বাধ্য...

বাঁশ-লাঠি দিয়ে মার, তারপর পুলিশে তুলে দেওয়া! ওড়িশা থেকে কোনওমতে মালদহে পরিযায়ী

শুধুমাত্র বাংলা বলায় বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনওভাবেই কাজ করতে দেওয়া হবে না, এটাই যেন মোহন মাঝি শাসিত ওড়িশায়...