পাঁচতারা হোটেলের মেনুতে ছিল সর্ষে ইলিশ আর মাটন কষা।ছিল তাইল্যান্ডের খাবারের কাউন্টার। মিষ্টির মধ্যে রাবড়ি, রসমালাই। অথচ অনুষ্ঠানের দিন দেখা গেল, মেনুতে রসমালাই থাকলেও রাবড়ি নেই। তাইল্যান্ডের খাবারের ছিটেফোঁটা নেই। সর্ষে ইলিশ, মাটন কষার জায়গা নিয়েছে চিংড়ির মালাইকারি আর মাটন বিরিয়ানি!দক্ষিণ কলকাতার অমিত দত্ত যখন ‘বদলে’ যাওয়া খাবারের মেনু চাক্ষুষ করলেন ততক্ষণে বোনের বিয়ের সন্ধ্যায় অতিথিরা হাজির হয়ে গিয়েছেন।

অতিথিদের অনেকেই বদলে যাওয়া মেনু দেখে মুখ টিপে হেসেছেন। রীতিমতো অপ্রস্তুত অমিত দত্তের মুখ লজ্জায় লাল।কারণ, কাউকেই তিনি বোঝাতে পারছেন না যে হোটেল কর্তৃপক্ষ অন্য খাবার দিয়েছেন।


আরও পড়ুন – বিধাননগরের ডেপুটি মেয়রকে খুনের হুমকি পোস্টার

এরপরই ‘তাজ বেঙ্গল’-এর নামে তিনি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন।তাঁর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, চলতি মাসে আদালত নির্দেশ দিয়েছে অমিতকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে 10 লক্ষ টাকা দিতে হবে ‘তাজ বেঙ্গল’কে। মামলার খরচ হিসাবে দিতে হবে আরও 25 হাজার টাকা। এমনকি, অগ্রিম হিসেবে দেওয়া 4 লক্ষ টাকাও হোটেলকে ফেরত দিতে হবে। তাজ বেঙ্গল কর্তৃপক্ষ অবশ্য আদালতের নির্দেশ খতিয়ে না দেখে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।


আদতে অসমের বাসিন্দা অমিত বলেন, বোনের বিয়ে হয়েছিল 2014-র 7 ডিসেম্বর। তারও এক বছর আগে হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। প্রথমে হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল মানতে না চাইলেও, পরের দিন তাজ বেঙ্গল-এর ম্যানেজার ই-মেল করে তাদের ভুল স্বীকার করেন।এমনকি অগ্রিম দেওয়া 4 লক্ষ টাকার অর্ধেক 2 লক্ষ টাকা ফেরৎ দিতে চান।কিন্তু অমিত তাতে রাজি হননি।এরপরই তিনি আদালতে গেলে বিচারক ক্ষতিপূরণ হিসেবে 10 লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন হোটেল কর্তৃপক্ষকে।

আরও পড়ুন – মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যপাল
