নৈহাটি পৌরসভার ভাগ্য পরীক্ষা বুধবার। বারাসতে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দফতরে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ঠিক হবে নৈহাটি পুরসভা কার দখলে থাকবে? তবে তৃণমূলের দাবি, পুরসভার ৩১টি আসনের মধ্যে এই মুহূর্তে তাদের কাছে ২৬ জন ও বিজেপির কাছে ৫ জন কাউন্সিলর আছে। ফলে অনাস্থায় জয় হবে তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয় সে বিষয়ে জানতে মুখিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।

কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জেলাশাসকের দফতর জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৩১ আসনের নৈহাটি পুরসভায় সবকটি আসনই তৃণমূলের ছিল। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের জয়লাভের পর হালিশহর, কাঁচরাপাড়ার মত নৈহাটির প্রায় ১৮ জন কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ করেছিল। ফলে তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৩ জন। সেক্ষেত্রে সংখ্যা গরিষ্ঠতার দাবি করে বিজেপি তৃণমূলের চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার দাবি জানিয়ে চিঠি দেয়। নবান্নের নির্দেশে নৈহাটি পৌরসভায় প্রশাসক বসানো হয়। কিন্তু বিজেপির তরফে ফের বিষয়টি অনৈতিক দাবি করে পুরবোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করে। যে মামলায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রায় দেয় প্রশাসক নিয়োগ বন্ধ করে চেয়ারম্যানকে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। যেটি বারাসাতে জেলাশাসকের অফিসে জেলাশাসকের উপস্থিতিতেই করতে হবে। ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে প্রথম ধাপে ১০ জন কাউন্সিলর আবার তৃণমূলে ফেরায় সংখ্যাটি দাঁড়ায় তৃণমূল ২৩, বিজেপি ৮। বর্তমানে তৃনমূলের দাবি তাদের কাউন্সিলর সংখ্যা ২৬, বিজেপির ৫। স্বভাবতই বিজেপি যে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থার চিঠি দিয়েছিল সেই অশোক চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলের সমর্থনে আবারও চেয়ারম্যান হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তবে শেষমেশ নৈহাটি পুরসভার ভাগ্য কী দাঁড়ায় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।।
