বৈশাখীর মেয়ের জন্মদিনে আমন্ত্রিত সব পক্ষই, নিমন্ত্রণ রক্ষা নিয়ে দোটানায় নেতারা

শোভন বান্ধবী অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়ের জন্মদিন আজ ১ নভেম্বর। এই জন্মদিনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে গোলপার্কে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির কমিউনিটি হলে। জাঁকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের পাশাপাশি সমস্ত রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট নেতারা আমন্ত্রিত আছেন। বিশেষ করে রাজ্য রাজনীতি যুযুধান দুই পক্ষ তৃণমূল ও বিজেপির প্রথমসারির সব নেতারাই আমন্ত্রিত বৈশাখীদেবীর মেয়ের জন্মদিনের এই অনুষ্ঠানে।

এদিকে, সম্প্রতি শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কিছুটা গোলক-ধাঁধার খেলা চলছে। গত ১৪ আগস্ট দিল্লিতে গিয়ে দলবদলের পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁরা খাতায়-কলমে বিজেপি শিবিরেই রয়েছেন। যদিও গেরুয়া শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ কোনও বৈঠকেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সেভাবে দেখা যায়নি। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব-এর অনেকের সঙ্গেই শোভন এবং বৈশাখীর দূরত্ব বেড়েছে বলে জানা যায়।

অন্যদিকে, বিজেপিতে কোণঠাসা অবস্থানের মধ্যেই ভাইফোঁটার দিন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে ফোঁটা নিয়ে আসেন শোভন। সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখীও। আর এই ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতি তাঁদেরকে নিয়ে নতুন করে সমীকরণ তৈরি হয়েছে। তাহলে কি গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমা শেষ করে পুরনো ফের ঘরে ফিরছেন শোভন?

এই জটিল সমীকরণের মাঝেই আজ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের জন্মদিন। আর সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল ও বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। নেহাতই একটা জন্মদিনের অনুষ্ঠান হলেও, নিমন্ত্রণ রক্ষায় বর্তমান পরিস্থিতি দ্বিধাগ্রস্ত করে তুলেছে অনেক নেতা-নেত্রীকেই।

জানা গিয়েছে, ব্যস্ত থাকায় বৈশাখীর মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। আমন্ত্রিত আছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। এখনও পর্যন্ত যা খবর, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন তিনি।

অন্যদিকে, বিজেপি শিবিরের পক্ষে আমন্ত্রিত আছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, মুকুল রায়-সহ আরও বেশ কয়েকজন। দীলিপবাবু ও মুকুল রায় যাবেন কিনা এখনও নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু জয়প্রকাশ মজুমদার যাচ্ছেন না, সেটা নিশ্চিত। ওই সময় জয়প্রকাশবাবু অন্য একটি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

সব মিলিয়ে শোভন বান্ধবী বৈশাখীর মেয়ের জন্মদিনে যাওয়ার বিষয়টিকে অনেকেই বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্যারামিটারে “স্পর্শকাতর” হিসেবেই দেখছেন। তাই তাঁদের অনেকেই কৌশলী পদক্ষেপ হিসেবে ব্যক্তিগত কাজের তত্ত্ব তুলে ধরে, অনুষ্ঠানে হাজির না থাকারই পন্থা অবলম্বন করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে শ্যাম আর কুল, দুটোই রক্ষা করা যাবে।

Previous articleনন্দিনী ফের গুরুত্বপূর্ণ পদে, অত্রির হাল নিয়ে জল্পনা
Next articleস্বরাষ্ট্রসচিব থেকে ক্রেতা সুরক্ষায়! আমলা অত্রির ‘অবনমন’ নিয়ে গুঞ্জন প্রশাসনে