জয়প্রকাশ মজুমদারকে কে লাথি মেরেছিল? খোঁজ দিলেন বাবুল

নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণকে ঘিরে গোলমাল সোমবার সকাল থেকে সংবাদশীর্ষে। করিমপুর বিধানসভার থানারপাড়া ৩২ নম্বর বুথে চরম হেনস্থার শিকার হন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, বুথ থেকে বাইরে বেরনোর পর বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে ধরেন তৃণমূল কর্মীরা। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। অভিযোগ, তাঁকে লাথি মেরে রাস্তার পাশের ঝোপে ফেলে দেওয়া হয়। চোট পান জয়প্রকাশ মজুমদার। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনা তৃণমূলেরই করা বলে অভিযোগ করে বিজেপি।

এর পরেই এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। জয়প্রকাশের আক্রান্ত হওয়ার গোটা ঘটনার ভিডিও সামনে আসার পরই স্পষ্ট হয়ে যায় কে বা কারা আক্রমণ চালিয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করে শাস্তির দাবি তুলেছে বিজেপি। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় টুইটারে সেই ভিডিও প্রকাশ করে ঘটনার নিন্দা করেছেন। একই সঙ্গে যার লাথির আঘাতে বিজেপি প্রার্থী ঝোপে পড়ে যান তার ছবিও আলাদা করে চিহ্নিত করেছেন।


জয়প্রকাশ মজুমদারকে চড়, লাথি, ঘুষি মারা ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে তারিকুল শেখ নামে এক যুবকের। তাঁকে জয়প্রকাশ মজুমদারের পিঠে লাঠি মারতে দেখা যায় মোবাইল ক্যামেরার ফুটেজে। তারিকুল ছাড়াও আরও ৯ তৃণমূল কর্মীর নামে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। বাকি অভিযুক্তরা হল বঙ্কিম মণ্ডল, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, কালামউদ্দিন বিশ্বাস, দুখু মালিথা, খুদাবক্স শেখ, দিনারুল বিশ্বাস, মাসাদুল আলম, ও হাবিব বিশ্বাস। এদের সকলের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করেছে বিজেপি।

Previous articleএবার রাজ্যপালের মুখেও ‘জয় বাংলা’
Next articleনামতা বলতে না পারায় এ কী শাস্তি দিলেন শিক্ষক!