দিল্লির নরেন্দ্র মোদি আর বাংলার দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একই পাঠশালায় পড়াশুনা করেছেন। সোমবার কলকাতা জেলা সিপিএমের সমাবেশে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে এমনই মন্তব্য করলেন মহম্মদ সেলিম।
তাঁর কথায়, “স্বাধীনতার পর এইভাবে এত ব্যাপক আন্দোলন দেখা যাচ্ছে দেশে। সেখানে শুধু মোদি ভয় পেয়েছেন তাই নয়, বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভয় পেয়েছেন। সেই কারণেই কলকাতায় মোদি আসায় তার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন মমতা। সেখানে কাউকে নিয়ে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় একসঙ্গে লড়াই করার কথা বললেও, বিরোধীদের সঙ্গে নিচ্ছেন না তিনি। তাই লড়াই করতে হলে মা-মাটি-মানুষ বললে হয় না। ওটা দিয়ে কাট মানি খাওয়া যায়। লড়াই করতে হলে ইনকলাব জিন্দাবাদ বলতে হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তারই ছবি দেখা যাচ্ছে।মোদি আর দিদিকে দেখতে আলাদা, কিন্তু তারা একই পাঠশালায় পড়াশোনা করেছেন। কাজের কায়দা একই। তাই দেশ যদি বাঁচাতে হয়, তাহলে আবার লাল ঝান্ডা নিয়ে আসতে হবে।”
এখানেই শেষ নয়। মোদি-দিদি সেটিং প্রসঙ্গে সেলিমের অভিযোগ এবং যুক্তি, “এখানে বিভাজনের উদ্দেশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। একাধিক নেতা নানা কথা বলছেন। মোদি এক কথা বলছেন, অমিত শাহ আবার অন্য কথা বলছেন। দিলীপ ঘোষ বলছেন, এক কোটি মানুষকে বাংলা ছাড়া করবো। আসলে নবান্নের সৌজন্যেই এই সাহস পাচ্ছেন দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা। মোদি-দিদির মধ্যে যে যোগসূত্র রয়েছে এটা সেটারই প্রমাণ। তাই আমি এই দেশের যুব সমাজকে অভিনন্দন জানাবো তাদের আন্দোলনের জন্য।
এটা কারও বাপের দেশ নয়, যে যাকে যখন খুশি দেশ থেকে বের করে দেবে। প্রয়োজনে দিলীপ ঘোষেদের কুকুরদের বিরুদ্ধে লাল কুত্তা বাহিনী তৈরি করতে হবে।”
পাশাপাশি সেলিম হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, বাংলার মাটিতে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেওয়া হবে না। কেউ যদি এখানে তা তৈরি করতে আসে, তাহলে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।