একেই বলে ফাঁপড়ে পড়া। অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদির মুখ পোড়াল সরকারি দফতর। জেএনইউতে ‘টুকরে গ্যাং’ রয়েছে। আর এরাই নাকি সব অশান্তি আর মূলে। প্রকাশ্য সভায় দেশের প্রধানমন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বক্তব্য রেখে আন্দোলনকে ‘অন্য মাত্রা’ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সে নিয়ে আরটিআই অর্থাৎ রাইট টু ইনফরমেশন বা তথ্য জানার অধিকার নিয়ে আবেদন হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে করা সেই আরটিআইয়ের জবাবে কিন্তু মুখ পুড়েছে বিজেপি নেতাদের। সাকেত গোখেলের করা ওই আবেদনের উত্তর দিয়েছে অমিত শাহর দফতর। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, এই টুকরে গ্যাংয়ের কোনও তথ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে নেই। অর্থাৎ এটা পরিষ্কার বিজেপি নেতারা ছাত্রদের আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এই ভুয়ো অভিযোগ তুলেছেন। যার অস্তিত্বের কথা স্বীকার করছে না খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর!

জেএনইউতে ছাত্র আন্দোলন হলেই বিজেপি তাকে দেশবিরোধী তকমা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সাম্প্রতিক ফি বৃদ্ধি আন্দোলন এবং এবিভিপির সশস্ত্র হামলার পর বলা হয়, দেশের এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে টুকরে টুকরে গ্যাং আছে, যারা দেশকে টুকরো করার চক্রান্তে জড়িত। প্রথম এই প্রসঙ্গ তোলেন অমিত শাহ, পরে নরেন্দ্র মোদি এবং তারপর অন্য নেতারা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই আরটিআই হয়। আর এই রিপোর্টেই প্রকৃত তথ্য দিতে বাধ্য হয় সরকার। যা নিয়ে সরকারি মহলে প্রবল অস্বস্তি। নিজেদের মন্তব্য কীভাবে ঢোক গিলে বিজেপি হজম করে সেটাই দেখার।
