রবীন্দ্রসঙ্গীতে অশ্লীল শব্দ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনি ব্যবস্থা হোক।
এটা কোথায় যাচ্ছি আমরা?
বাকস্বাধীনতার নামে আর কী কী হবে?
রবীন্দ্রভারতীর যে ছবিগুলি ঘুরছে, মারাত্মক।
যদি এগুলি ঠিক হয়, আমি অবাক, ছেলেমেয়েগুলো পারল কী করে?
ওই কুশব্দগুলো মেয়েরা নিজেদের শরীরে লিখেছে!!
ভিডিওতে দেখলাম আরও বেশি সংখ্যক ছেলেমেয়ে সানন্দে বিকৃত শব্দ দিয়ে গান গাইছে।
ইডেনেও দেখেছি।
আরও দুএকটি জায়গায় দেখলাম।
আজ একটি ভিডিও পেলাম চারটি মেয়ে, স্কুলের মাঠে মনে হল, কুৎসিত কাজটা করছে।
কী অনায়াসে যৌনতামাখা কুশব্দ ব্যবহার করছে তারা।
এবার কোনো ছেলে তাতে সাড়া দিলেই সব্বোনাশ!
কী হচ্ছে চারপাশে?
রবীন্দ্রনাথকে বিকৃত করে কোনো জানোয়ার সোশাল মিডিয়ায় নিজের সস্তা প্রচার করছে।
কিন্তু তাতে হাততালি দেওয়ার লোক জুটছে কী করে? এই বাংলায় ! আমাদের চারপাশে !
অবিলম্বে এই প্রবণতা কড়া হাতে থামানো হোক।
যে সূত্র, সেই ভাঁড় জানোয়ারটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। এটা চলতে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না।
খবরে দেখলাম দুচারটে অসভ্যকে থানায় ডাকা হয়েছে। তারা নাকি দুঃখপ্রকাশ করছে।
ভাবুন:
1) রবীন্দ্রনাথের গানে ওই সব শব্দ।
2) ভাবুন, গান দূরের কথা, প্রকাশ্যে শব্দগুলি যথেচ্ছ প্রকাশ্য উচ্চারণ। চারপাশের দূষণ।
3) ভাবুন, এরা এতটা বেপরোয়া, কী করছে, কে শুনছে, ভিডিও ছড়াচ্ছে, কিছু এসে যায় না এদের। এরাই আমাদের সমাজের ভবিষ্যৎ। একটি মেয়ে এতটাই বাচ্চা যে মনে হল বয়ঃসন্ধির উত্তেজনায় একপ্রকার মজা হিসেবেই খারাপ কথাগুলো বলে যাচ্ছে।
রাগ হচ্ছিল তো বটেই। কিন্তু সেই রাগ টপকে ঘিরে ধরছিল অসহায়তা। নিজের ফোনের পর্দায় এটা দেখতে হচ্ছে। কিছু করার নেই।
দুএকটি ছবি হয়ত পুরনো।
দুএকটি ছবি হয়ত ফটোশপ।
দুএকটি হয়ত পরিকল্পিত চক্রান্ত।
কিন্তু বাকিগুলি?
চূড়ান্ত খারাপ এই কীর্তিটা ছড়াচ্ছে।
ডেঙ্গি, করোনার থেকে এই রোগের ভাইরাস কম বিপজ্জনক নয়।
অবিলম্বে থামানোর পদক্ষেপ হোক।