করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে বিশ্বে। মৃতের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ ছুঁইছুঁই। করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যু আতঙ্ক থেকে চোখ সরিয়ে টেলিস্কোপে নজর রাখতে চমকে উঠলেন বিজ্ঞানীরা।

কী দেখলেন তাঁরা?

একটি বিরাট তারা। ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরির দীর্ঘতম টেলিস্কোপে ধরা দিয়েছে এই তারা। চার নাম এস২। কৃষ্ণগহ্বরের আকর্ষণের কারণে নিজের কক্ষপথে নেচে নেচে ঘুরে চলেছে এই তারা। বৃহস্পতিবার ‘অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স’ জার্নালে ছায়াপথের এই ‘ডান্সিং স্টার’- এর কথা লিখেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ফিজিক্স-এর ডিরেক্টর রেইনহার্ট গেঞ্জেল বলেছেন, ‘এস২’ নামক তারাটির কক্ষপথে স্থির নয়। কৃষ্ণগহ্বরের টানে কাছাকাছি চলে গেলে এক অদ্ভুত চক্রাকারে তার কক্ষ পথ পরিবর্তিত হতে শুরু করে। দেখে মনে হয় ‘নেচে নেচে ঘোরা’ শুরু করেছে। সেইসঙ্গে এঁকেবেঁকে চলছে তার কক্ষপথও। এই কারণেই মনে হচ্ছে মহাশূন্যে ফুল ফুটেছে। ফুলের পাপড়ির মত আকার নিচ্ছে তারার কক্ষপথ।

A dancing star and Einstein’s theory of general relativity — learn more about this amazing discovery in this short video.#ESOCastLight #BiteSizedAstronomy #4K #UHDhttps://t.co/hRKpTtHgVP pic.twitter.com/OCVMQrUnJC
— ESO (@ESO) April 16, 2020
বিজ্ঞানীদের মতে, এই প্রথমবার কৃষ্ণগহ্বরের খুব কাছাকাছি এসে পড়েছে ওই তারা। এই কারণেই একটা জোরালো আকর্ষণ কাজ করছে তার ওপর। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ঠিক মাঝখানে রয়েছে দানব কৃষ্ণগহ্বর যার নাম, ‘স্যাজিটেরিয়াস এ’। এই ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবরকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ‘রাক্ষুসে ব্ল্যাকহোল’ বলে থাকেন। যেমন তার চেহারা, তেমনি তার খিদে। নিজের চারপাশে এসে পড়া কোন মহাজাগতিক বস্তুকে নিজের দিকে টেনে নিতে পারে। এই ব্ল্যাকহোলটি রয়েছে আমাদের থেকে ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে।
Want to know more about the S2 star orbiting the supermassive black hole at the centre of the Milky Way? Send us your questions using #AskESO and today at 17:00 CEST the scientists involved in the result will come online to answer them.https://t.co/uJYawPjfUw
Image:ESO/L.Calçada pic.twitter.com/Elh1NPP99w— ESO (@ESO) April 16, 2020