Thursday, August 28, 2025

রাজ্যপাল এটা কী করছেন? এতো সীমাহীন বাড়াবাড়ি, কুণাল ঘোষের কলম

Date:

Share post:

কুণাল ঘোষ

আবার ট্যুইট!

আবার রাজ্যপাল!

আবার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ!

এটা কী করছেন রাজ্যপাল।
সবকিছুর একটা সীমা থাকা উচিত।

আমি মনে করি তাঁর এই ধরণের কোনো মন্তব্যের উত্তর মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া উচিত না। এর জবাবের বিকল্প উপায় ভাবুক সরকার ও দল।

করোনাযুদ্ধের পদ্ধতিতে সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের মতপার্থক্য হতেই পারে।
তিনি বলেছেন। এনিয়ে একপ্রস্থ তিক্ততা হয়েছে।

আবার?
রাজ্যপাল চাইছেন কী?

রাজ্য সরকারের সব পদক্ষেপই ঠিকঠাক, এমন দাবির সঙ্গে সবাই একমত নাও হতে পারেন।

তিনি রাজ্যপাল।
সরকারকে বলুন, ডাকুন।
পার্থবাবুকে বলুন দরকারে।

সকালবিকেল টুইট সংস্কৃতি কতটা ঠিক?
করোনা ছেড়ে ঝগড়ামূলক খবর শিরোনাম কেন হবে বারবার?

রাজ্যপাল তৃণমূলের যে কোনো সাংসদের টুইটের পাল্টা দেবেন বলেও বসে আছেন!
এটা কি পদটাকে লঘু করে দিচ্ছে না?

এসব করলে রাজ্যপালের কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথাও গুরুত্বহীন হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে তিনি শুধু এইভাবে খবর তৈরিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।

সরকারি কাঠামোতে সমস্যা আছে। কিছু আমলা বা ডাক্তারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সব কটি পদক্ষেপ নিখুঁত থাকতে পারে নি। চিকিৎসা বিভ্রান্তি, রেশনসমস্যা আছে। কিন্তু সেটা বলা হচ্ছে। সমাধানের চেষ্টাও হচ্ছে। রাতারাতি সবটা করা কঠিন।

তবু সমস্যা থাকলে বলতে হবে।
কিন্তু তার এটা পদ্ধতি?
তাহলে তো অন্য রাজ্যের হালের তুলনাও আসবে। তর্ক বাড়বে।

রাজ্যপালকে মুখ্যমন্ত্রীর পাঁচ পাতার চিঠি কৌশলগতভাবে ভুল।
আবার রাজ্যপালের 14 পাতার চিঠির জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তর না দেওয়া কৌশলগতভাবে ঠিক।

রাজ্য এখন সর্বাত্মকভাবে কাজের চেষ্টা করছে।
তার মধ্যে টুইট? একই আক্রমণ?

কেন্দ্রীয় টিম ঘুরছে।
তাদের আসার পদ্ধতি অসৌজন্যের।
কিন্তু এসে যে একেবারেই কাজ হয় নি, সেটা সবাই একমত হয়ে উপসংহারে যাবেন না।
চাপ এবং পরিদর্শনের কিছু সুফল থাকে।
যদিও রাজ্যের প্রাপ্য আদায়ে তাদের ভূমিকা স্পষ্ট নয়। তাদের রিপোর্টে আর কী কী বড় সুবিধা হবে, জানা নেই।
প্রশাসনের উপর আপাত চাপটুকু ছাড়া।

এখানেও চিঠিবিতর্ক আছে।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেটা আর কিছু না হোক, উপকারী চাপসৃষ্টিকারী। সতর্কতা বাড়ার মত। তাতে বিতর্ক থাকলেও প্রচ্ছন্ন উপকারও আছে।

কিন্তু রাজ্যপালের টুইটবর্ষণ ছেলেমানুষি হয়ে যাচ্ছে।
মনে হচ্ছে তিনি একটি টুইট বা চিঠির অপেক্ষায় আছেন। রাজনীতিসচেতন মানুষ কেন, যে কোন লোকই এতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণের গন্ধ পাবেন।

রাজ্যপাল তাঁর বক্তব্য নিশ্চয়ই বলবেন।
কিন্তু তাঁর পদের গরিমার সঙ্গে মানানসই থাকুক পদ্ধতি।
যখনতখন টুইট সংস্কৃতি এখন বেমানান। এটা চলতে পারে না।

তাঁর কিছু বলার থাকলে সৌজন্যের সঙ্গে বলুন।
রাজ্য একান্তই কথা না শুনলে সাংবিধানিকভাবে ব্যবস্থা নিন।

কিন্তু টুইটে কলতলার ঝগড়ার বিষয়টা আর নেওয়া যাচ্ছে না।

 

spot_img

Related articles

রজতজয়ন্তীতে ডব্লিউবিএনইউজেএসকে উচ্চ প্রশংসা, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ প্রধান বিচারপতির

কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় (ডব্লিউবিএনইউজেএস)-এর উৎকর্ষতা এখন বেঙ্গালুরুর থেকেও এগিয়ে—রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের...

এসএসসি নিয়োগ পরীক্ষা পিছবে না, আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট 

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেও লাভ হলো না কিছু প্রার্থীর। দেশের...

যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ! রবিবার টালিগঞ্জ থেকে ক্ষুদিরাম পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো 

কলকাতার ব্লু লাইনের যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ। আগামী রবিবার মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন পর্যন্ত বন্ধ...

এনএইচএম কর্মীদের বড় উপহার, উৎসবের মুখে বোনাস ঘোষণা রাজ্যের 

উৎসবের দোরগোড়ায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজে নিযুক্ত রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।...