ভিন রাজ্যে মৃত্যু, বাড়ি পৌঁছে দিল ‘দুই বন্ধু’

রুটি রুজির জন্য মিজোরাম ছেড়ে তামিলনাড়ু গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎই হৃৎপিণ্ডের সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষমেষ মৃত্যু হয় বছর ২৮ এর ভিভিয়ান লালরেমসাঙ্গার। লকডাউন চলায় মিজোরামে আদৌ দেহ ফেরানো যাবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয় জলঘোলা। এই অবস্থায় তামিলনাড়ুর বাসিন্দা, পেশায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক জেয়ান্থিরান ও চিন্নাথাম্বিকে এগিয়ে আসেন। ৩ হাজার ৩৪৫ কিলোমিটার অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে চেন্নাই থেকে আইজলে ওই তরুণের দেহ পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরাই।

বুধবার সকালে মিজোরামের আইজলের বাড়িতে পৌঁছায় ভিভিয়ানের দেহ। চেন্নাইয়ে মিজো ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাইকেল লালরিনকিমার বলেন, “লকডাউন চলায় ধরেই নিয়েছিলাম ওঁর দেহ ফেরানো সম্ভব হবে না। এমন সময় পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন জেয়ান্থিরান ও চিন্নাথাম্বি।

যে রাস্তা দিয়ে আইজলের দিকে এগিয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স সেই রাস্তায় জেয়ান্তিরানদের শুভেচ্ছা জানান অগণিত মানুষ। স্থানীয়রা হাততালি, জয়োধ্বনি দিয়ে অভিবাদন জানান অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভিডিও পোস্ট করে লেখেন “হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ।”