করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। বিপদ বুঝতে পেরে কোনও প্রমাণ ছাড়া হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের শরণাপন্ন হন ট্রাম্প। এমন মন্তব্য করেন মার্কিন সরকারের এক উচ্চপদস্থ গবেষক।

বায়োকেমিক্যাল অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটির প্রাক্তন ডিরেক্টর ড. রিক ব্রাইটের অভিযোগ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন করোনার ওষুধ প্রচার করার জন্য তাঁর ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি করা হয়। অথচ করোনা নির্মূল হতে পারে এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। নিজের পদ থেকে অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করতে হয় বলে গবেষকের অভিযোগ।

মঙ্গলবার ব্রাইট সাংবাদিকদের বলেন, “কোনও প্রমাণ ছাড়াই ভারত থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিতে যান ট্রাম্প। এই ম্যালেরিয়া ড্রাগের এফডিএ অনুমোদনও নেই।” একটা ড্রাগের পক্ষে সকাল করা তাঁকে এবং তাঁর সহকর্মীদের যথেষ্ট বিব্রতই করেছিল বলে জানান ব্রাইট। নিজের পদের অপসারণের বিষয়টিও ইতিমধ্যে আদালতের সামনে এনেছেন ব্রাইট।

মার্কিন স্বাস্থ্যদফতরের অবশ্য দাবি, নমুনা পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজের জন্য ব্রাইটকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথে স্থানান্তরিত করা হয়। সংস্থার মুখপাত্র কেটলিন ওকলে বলেন, “এই কঠিন পরিস্থিতিতে কাজে যোগ দেননি ব্রাইট।
তাঁর মুখপাত্র জানিয়ে দেন তিনি অসুস্থ।”
