শক্তি বাড়িয়ে রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে আমফান

সতর্কতা আগেই ছিল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, “১৭ তারিখ থেকে ঘূর্ণিঝড় ক্রমে উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। তারপর উত্তর – উত্তর – পূর্ব দিকে ঘুরে হবে। উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের উপর দিয়ে যাবে। ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে এই ঘটনা ঘটবে।”

দিল্লির মৌসম ভবন সূত্রে খবর, ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে এই নিম্নচাপ।বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ- পশ্চিমে এর আপাতত অবস্থান। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার রাতের মধ্যেই এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। এদিন তিন দফায় শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহবিদদের ধারণা। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় শক্তি আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে প্রবল ঘূর্ণিঝড় এমনকি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপও নিতে পারে।

১৯ মে থেকে শুরুতে উপকূলীয় জেলায় ও পরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির, কোথাও অতি ভারী পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। ১৯ মে থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৮৫-৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস বইতে পারে। সপ্তাহের শুরুতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, মৌসুনি দ্বীপ, সাগর, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপের বেহাল নদী ও সমুদ্র বাঁধের পাশের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। তৈরি রাখা হচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। সুন্দরবনের প্রতি ব্লকে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।