২১ বছর আগের ঘূর্ণিঝড়ের স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে আমফান। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দিনভর শক্তি সংগ্রহ করবে ঘূর্ণিঝড়। বুধবার বিকেলের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়ার মাঝ বরাবর আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে প্রশাসন। উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দিঘা উপকূলবর্তী অঞ্চলের নিচু জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রচুর কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। জেলা প্রশাসন এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা কাজ করছেন। হলদিয়া বন্দরে জাহাজ প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। আবহবিদদের মতে, অমাবস্যায় এই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসায় সমুদ্র প্রবল উত্তাল হয়ে উঠবে। ঝড়ের পাশাপাশি জলোচ্ছ্বাসও ক্ষতি করবে বলে আশঙ্কা।

হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভারী বৃষ্টি হবে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে উপকূলের জেলা অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এদিন ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ৬০-৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বুধবার সকাল থেকে ১০০ কিলোমিটার ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে। সন্ধের দিকে তা ১৯৫ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে।
