Wednesday, November 19, 2025

মেয়ের স্কুল-ফি দিতে কিডনি বিক্রির অনুমতি চেয়ে চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

Date:

Share post:

লকডাউনের মধ্যেও স্কুল ফি দেওয়া নিয়ে সারা দেশেই একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে৷ একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষ নিয়মমাফিক ফি দেওয়া নিয়ে অনড়৷ অভিভাবকদের উপর চাপ বাড়ানো হচ্ছে৷ সংকটকালেও স্কুল কর্তৃপক্ষ নমনীয় নয়৷ এবার এই ধরনেরই এক ঘটনা বিতর্ক আরও তীব্র করলো৷

সম্প্রতি চণ্ডীগড়ের এক দম্পতি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন৷ ওই চিঠির প্রতিটি লাইনেই এই দম্পতি পরিবারের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর সামনে৷

লকডাউনে দীর্ঘদিন ঘরে আটকে থাকা চণ্ডীগড়ের অতুল ভোরা এবং তাঁর স্ত্রী চিঠিতে সন্তানের স্কুল ফি দেওয়ার জন্য কিডনি বিক্রি করতে চান, সে ব্যাপারে অনুমতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৷ চিঠিতে বলেছেন, মেয়ের স্কুল ফি দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে কোনও আর্থিক সঙ্গতি নেই৷ তাই এই পথই তাঁদের কাছে একমাত্র উপায় ৷
অতুল ভোরা চিঠি লিখে জানিয়েছেন, একটি কোম্পানিতে তিনি চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কাজ করতেন ৷ এই লকডাউন চলাকালীন তিনি চাকরি হারিয়েছেন ৷ তাঁর পরিবারে ৫ সদস্য রয়েছে ৷ আর তিনিই একমাত্র রোজগার করেন৷ নিজেদের যা সামান্য সঞ্চয় আছে, তা থেকে কোনওমতে দিন কাটছে আধপেটা খেয়ে৷ চাকরি হারানোর পর এখন তাদের পরিবার চালানোর একমাত্র সম্বল মায়ের পেনশন ৷ তাঁর কাছে বাড়ি ভাড়া দেওয়ার মতো অর্থ নেই, নেই ইএমআই দেওয়ার মতো অর্থ , হেলথ ইনসিওরেন্স ও ইউটিলিটি বিলও মেটাতে পারছেন না৷

প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন, চণ্ডীগড়ের সেন্ট জোসেফস সিনিয়র সেকেন্ডরি স্কুলের সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশুনো করে তাঁদের মেয়ে ৷ স্কুল এই মুহূ্র্তে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৩২ হাজার টাকার টিউশন ফি চাইছে ৷ তাঁরা এখন এই টাকা দেওয়ার অবস্থায় নেই৷

অতুল ভোরা এর আগে ফি রেগুলেটরি কমিটি ও চণ্ডীগড়ের শিক্ষা দফতরের কাছে এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছিলেন৷ তাঁর দাবি এরা কেউই স্কুলকে কোনও শোকজ করেনি৷ বিভিন্ন স্কুলের পেরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন একই অভিযোগ তুলেছে, কিন্তু কেউ কর্ণপাত করছে না৷

তিনি চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন, স্কুল ফি নিয়ে সরকার বা স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি এতটাই কড়াকড়ি করে, তাহলে শিক্ষার বাণিজ্যিকরণে “সহযোগিতা” করার জন্য শরীরের অঙ্গ বিক্রিকেও সরকারি স্বীকৃতি দিন ৷ যাতে স্কুল ফি দিতে নিজেদের কিডনি বেচতে পারেন ৷ চণ্ডীগড় পেরেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে নীতিন গোয়েল জানিয়েছেন, ‘বেশিরভাগ স্কুল এত বিশাল পরিমান টাকা একেবারে চেয়েছে, যা স্কুলের মোট টিউশন ফি-র সমান ৷ এই সংকটকালেও বাবা-মা কোনও রেহাই পাচ্ছেন না’৷ এরপর কী হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় এ বিষয়ে কোনও জবাব দিয়েছে কিনা জানা যায়নি ।

spot_img

Related articles

সংশোধনাগারের কর্মীদের তথ্য হবে ডিজিটালাইজড: নিয়োগ হচ্ছে কর্মী

সংশোধনাগার দফতরের কাজকর্মকে আরও স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল করে তুলতে রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে কর্মরত প্রায় ৪ হাজার কর্মীর সার্ভিস...

নাগরিকত্বের জন্য অনশনে মতুয়ারা, লন্ডনে প্রমোদ ভ্রমণে শান্তনু ঠাকুর!

নাগরিকত্ব থাকবে, না যাবে? আবার কি নতুন করে প্রমাণ করতে হবে যে তাঁরা ভারতীয়? এই দুশ্চিন্তায় যখন গোটা...

স্বর্ণব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার আরও ১: দোষীদের মোবাইলে বিডিও-যোগ

নিউটাউনের দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে চতুর্থ গ্রেফতারি বিধাননগর গোয়েন্দা বিভাগের। কোচবিহার থেকে বিবেকানন্দ সরকার নামে এক যুবককে গ্রেফতার...

পরিষেবা ও কাজে খামতি কোথায়: পঞ্চায়েতের মূল্যায়নে এবার শুরু বৈঠক

রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শেষ নেই। সাধারণ মানুষের কাছে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমেই পৌঁছে দিয়ে থাকে রাজ্যের প্রশাসন। তবে পঞ্চায়েতগুলি...