Tuesday, November 11, 2025

ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে লকেটের কনভয় আটকালো পুলিশ, রাস্তায় বসে পড়লেন সাংসদ

Date:

Share post:

দিলীপ ঘোষের পর লকেট চট্টোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগণার আমফান বিপর্যস্ত এলাকায় ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার সামনে পড়লেন হুগলির বিজেপি সাংসদ। আজ, শুক্রবার ক্যানিং-এর তালদিতে ত্রিপল-সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী দিতে যাচ্ছিলেন লকেট। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর অনেক আগেই বারুইপুরের উত্তরভাগ এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড করে বিজেপি নেত্রীর পথ আটকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী প্রায় ঘন্টাখানেক লকেটের পথ আটকে দাঁড়িয়ে থাকে। পুলিশের যুক্তি, লকেট চট্টোপাধ্যায় ক্যানিং গেলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। লকডাউনের মধ্যে কোনওভাবেই সেই ঝুঁকি পুলিশ নিতে রাজি নয়।

এরপরই রাস্তার উপর বসে পড়েন লকেট। তাঁর সঙ্গে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশকিছু বিজেপি সমর্থক। ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পূর্ব) বিজেপি জেলা সভাপতি হরেকৃষ্ণ দত্ত। বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভের পর পুলিশের অনুরোধে এলাকা ছাড়েন লকেট।

পুলিশের পক্ষ থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বলা হয়, ত্রাণের তালিকা দিলে পুলিশ সেইসব মানুষের বাড়ি তা পৌঁছে দেবে। কিন্তু রাজি হননি বিজেপি নেত্রী। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, “এ রাজ্যের পুলিশকে কোনওভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। পুলিশ শাসকের দলদাসে পরিণত হয়েছে। তিনি নিজে এই জেলার বাসিন্দা। একজন সাংসদ। তাঁর পথ আটকে বেআইনি কাজ করছে পুলিশ নিজেই। অসহায় মানুষের পাশে নেই রাজ্য সরকার। যখন বিজেপি ত্রাণ নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে, তখন বাধা দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই যা রাজ্যে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী আমফানের পর বলেছিলেন রাজনীতি না করতে। এখন তিনি নিজেই পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে রাজনীতি করছেন।”

পুলিশের অনুরোধে লকেট শেষ পর্যন্ত ফিরে গেলেও, তিনি স্পষ্ট জানান, এদিনের ঘটনা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। চিঠিতে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হেনস্থা ও ত্রাণ দিতে বাধা দেওয়ার সমস্ত ঘটনা সবিস্তারে জানানো হবে। সঙ্গে ছবিও পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।

উল্লেখ্য, এর আগে এই দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে গড়িয়া ঢালাই ব্রিজ এলাকায় আটকে ছিল পুলিশ। তাঁকেও আমফান বিপর্যস্ত এলাকায় যেতে দেওয়া হয়নি। এরপর
সাংবাদিক বৈঠক করে লকডাউন না মানার হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বেরচ্ছেন, তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদরা বেরোচ্ছেন। আর তাঁরা ত্রাণ দিতে গেলেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। এরপর আর তাঁরা লকডাউন মানবেন না, রাস্তায় নামবেন, রাস্তায় দেখা হবে বলে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন দিলীপ ঘোষ।

কী বললেন লকেট? দেখুন ভিডিও…

spot_img

Related articles

ধর্মেন্দ্রর অবস্থার অবনতি, রাতেই হাসপাতালে ছুটলেন শাহরুখ-সলমন

বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra) শারীরিক অবস্থার অবনতি। রাতেই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গেলেন শাহরুখ-সলমানরা (Shahrukh Khan - Salman...

সলমনই হামলার মাস্টারমাইন্ড? দিল্লি বিস্ফোরণে গ্রেফতার ব্যবহৃত গাড়ির মালিক

সাদা রঙের একটি হুন্ডাই আই–২০ গাড়ি ধীরে ধীরে এসে ট্রাফিক সিগন্যালের সামনে থামতেই মুহূর্তের মধ্যে ঘটে বিস্ফোরণ। সোমবার...

দিল্লি বিস্ফোরণের জের: কলকাতার সব থানাকে সতর্ক করেছে লালবাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চলছে নাকা চেকিং

দিল্লির লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে দেশের রাজধানীর পাশাপাশি হাই অ্যালার্ট (High...

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর! ঘটনাস্থলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, গ্রেফতার গাড়ির মালিক

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১। বিষ্ফোরণ হওয়া গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের...