Friday, November 21, 2025

‘দলবদলু’ নেতারা ভাবছেন, তৃণমূলের দরজা খোলা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়

Date:

Share post:

‘বড়’ দায়িত্ব পাওয়ার জল্পনা ছিল তুঙ্গে৷ কিন্তু গেরুয়া শিবিরের কেউই কথা রাখেনি৷

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় দলের শীর্ষস্তরের নেতারাও আশ্বাস দিয়েছিলেন অচিরেই সম্মানজনক পদে নিয়ে আসা হবে তাঁদের৷ ফলে আশায় ছিলেন এই সব নেতারাও৷ সেই আশায় ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে পরাস্ত করতে মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছিলেন৷ সকলের সন্মিলিত চেষ্টায় রাজ্য থেকে ১৮টি আসনও পেয়ে যায় বিজেপি৷
বঙ্গ-বিজেপির যে নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে নামগন্ধও নেই এইসব নেতাদের৷ নেতাদের অনুগামীরা ক্ষুব্ধ, হতাশ৷ ঘনিষ্ঠ মহলে এই নেতারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ অনেকের আবার প্রাথমিক প্রতিক্রয়া, ‘এভাবে দলবদল করে হয়তো ঠিক করিনি’৷
বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটিতে নিখোঁজ শুভ্রাংশু রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুপম হাজরা, কাশেম আলি, ডাঃ অর্চনা মজুমদার, শঙ্কুদেব পাণ্ডা, নিশীথ প্রামানিক, বিপ্লব মিত্র, শান্তনু ঠাকুর৷এ ছাড়াও আছেন জনাকয়েক বিধায়ক৷ এরা প্রত্যেকেই গত লোকসভা নির্বাচনের আগে অথবা পরে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ঘুচিয়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে৷ কেউ কলকাতায়, কেউ দিল্লি গিয়ে হাতে তুলে নিয়েছিলেন পদ্ম-পতাকা৷ প্রত্যেককেই কথা দেওয়া হয়েছিলো, অন্যদল ছেড়ে আসার স্বীকৃতি দেবে বিজেপি৷ কিন্তু সেই আশা জল্পনাই থেকে গেলো৷ রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই হয়নি একজনেরও৷ এই নেতাদের অনেকেই এখন রসিকতার শিকারও হচ্ছেন৷ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়া এক যুবনেতাকে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীই প্রশ্ন করেছেন, “পদ পেলেন না, এখন নিরাপত্তারক্ষীও প্রত্যাহার করে নিলে কী হবে স্যর?”
‘কী হবে এখন?’ এই প্রশ্নই সোমবার বিকেল থেকে তাড়া করছে এসব নেতাদের৷ অনুগামীদের অনেকে ‘দাদা’-দের বোঝাচ্ছেন, “এখানে আর কিছু হবে না, আমরা তৃণমূলেই ফিরে যাই বরং”! অনেকে আবার এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই বলেছেন, “তৃণমূলে ফেরা সহজ নয়৷ অনেক বাধা আসবে৷ ক্ষমা চাইতে হবে৷ দাদাকেই সব ব্যবস্থা করতে হবে৷” হতাশ শঙ্কুদেব পাণ্ডা,অনুপম হাজরা, কাশেম আলি, ডাঃ অর্চনা মজুমদার, বিপ্লব মিত্ররা৷ নিশীথ প্রামানিক, শান্তনু ঠাকুররা দলের সাংসদ হলেও অপমানিত বোধ করছেন৷ এরা সবাই তৃণমূলকে ‘দেখিয়ে দেবেন’ মনোভাব নিয়েই বিজেপিতে এসেছেন৷ এদের অনেকেই এখন অপমানিত বোধ করছেন৷ ভবিষ্যতে কী করবেন, ভেবে চলেছেন৷ তৃণমূলের দরজা খোলা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়৷

অনেকেই এখন নতুনভাবে এই আশায় বুক বাঁধছেন৷ হতাশার সাগরে ভেসে যাওয়া এই নেতারা এখন ভেসে ওঠার দ্বীপ খুঁজছেন৷

spot_img

Related articles

বিজেপির দ্বিচারিতা! ছাব্বিশে হাতেনাতে শাস্তি দেবে বাংলা, শাহকে কড়া জবাব তৃণমূলের

বিজেপির দ্বিচারিতা ধরে ফেলেছে বাংলার মানুষ। এবার বাংলা-বিরোধী দলকে হাতেনাতে শাস্তি দিতে তৈরি তারা। ২০২৬-এই বিজেপি পাবে যোগ্য...

শোভনদেবের উপস্থিতিতে চার্টার অফ ডিমান্ডে সই, খুশি কর্মীরা

শুক্রবার সিইএসসিতে তৃণমুলের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ( এস কে ইউ) ৬ বছর বাদে চার্টার অফ ডিমান্ড সই করলো।...

খসে পড়ল মুখোশ! খোদ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যই বাংলাদেশি

বাংলবিরোধী বিজেপির মুখোশ খসে পড়ল আবার। খোদ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যই বাংলাদেশি! বাংলাদেশে ভোটার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম।...

বিএলও–দের প্রতি পূর্ণ আস্থা কমিশনের, নিউ টাউনের কর্মশালায় জানালেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) প্রক্রিয়ার সাফল্য মূলত বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) দক্ষতা ও নিষ্ঠার উপরেই নির্ভর...