‘সারা আকাশ’ থেকে ‘রজনীগন্ধা’র গন্ধ নিয়ে নেমে এসেছিলেন ‘চিতচোর’ হয়ে। তাঁর সঙ্গে ‘ছোটি সি বাৎ’ বুঝিয়ে দিয়েছিল এ যাত্রা হবে ‘খাট্টা মিঠা’। ‘দিল্লাগি’ করতে ‘তুমহারে লিয়ে’ ‘সফেদ ঝুট’ বলতেও আপত্তি ছিল না তাঁর। কিন্তু ‘বাতোঁ বাতোঁ মে’ কখন যে তিনি ‘মঞ্জিল’-এ পৌঁছে দিতেন বুঝতে পারতেন না দর্শকরা।

‘চক্রব্যূহ’-এ পড়েও উপলব্ধি করতেন ‘জিনা ইয়াহা’। ‘পসন্দ আপনি আপনি’- ‘কিরায়েদার’ হয়ে বাজবে? না কি ‘লাখোঁ কি বাত’ শুনবে?
তবে, ‘চামেলি কি শাদি’ থেকে ‘কামলা কি মউত’-এ তাঁর অবাধ বিচরণ বুঝিয়ে দিয়েছিল তিনি সত্যিই ‘রজনীগন্ধা’।
বলিউডের ‘শিশা’য় নিজের প্রতিভার বিচ্ছুরণ দেখার পর ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ হয়ে নেমে এসেছিলেন বাংলা ছবির আঙিনাতে। তাঁর হাত ধরে নানা ‘টক-ঝাল-মিষ্টি’ গল্প পেয়েছে টলিউড।
রুপোলি পর্দার পাশাপাশি যখন ঘরের কোণে শোভা পাচ্ছে টেলিভিশন। তখন সেখানে ‘এক রুকা হুয়া ফায়সালা’ শোনাতে হাজির হয়েছিলেন বাসু চট্টোপাধ্যায়। আর হবেন নাই বা কেন? তার মতো প্রতিভাধর পরিচালক পাশে পেয়েছিলেন ‘ব্যোমকেশ বক্সি’-কে। সঙ্গে ছিলেন ‘রজনী’- সেই সাধারণ অথচ লড়াকু বাড়ির বধূ যাঁর কথা বারবার নিজের চলচ্চিত্রে বলেছেন বাসু চট্টোপাধ্যায়। তিনি ‘দর্পন’-এ মুখ দেখিয়েছিলেন আমজনতার।
বাসু চট্টোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে তাঁর এই ‘চুপি চুপি’ চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না সিনেপ্রেমীরা। বলিউড থেকে টলিউডের আনাচে-কানাচে একটাই প্রশ্ন ‘হচ্ছেটা কি’?।
