শুক্রবার দিল্লি থেকে দুটি পরস্পরবিরোধী জল্পনা তৈরি হয়েছে।

একটি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বেশি রাতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে মুকুল রায়ের। কিছুদিনের মধ্যেই মন্ত্রিসভার রদবদল। মুকুল পূর্ণমন্ত্রী বা রাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন। দপ্তর কয়লা বা সংখ্যালঘু উন্নয়ন। কয়লামন্ত্রী হলেও মকুলকে মুসলিম সংগঠন দেখতে হবে। অমিত শাহ মুকুলকে বলেছেন বাংলায় তৃণমূলের মুসলিম ভোটে ভাঙন ধরাতে পুরোপুরি নেমে পড়তে। প্রয়োজনে দুএকটি অরাজনৈতিক মঞ্চকেও কাজে লাগাতে।

দ্বিতীয় সূত্র বলছে, প্রথম জল্পনাটি সর্বৈব ভিত্তিহীন। অমিত-মুকুল দেখা হয়নি। মুকুল সময় চেয়েছেন। অপেক্ষা করছেন।

এবিষয়ে দিল্লির বিজেপি বা মুকুল রায়, কোনো শিবির থেকেই একটি শব্দও বলা হয়নি। ফলে বিষয়টিকে এখনও আনকনফার্মড স্পেকুলেটিভ স্টোরি বলা যেতে পারে।

মুকুল রায় দিল্লিকে বার্তা দিয়েছেন, হয় নির্দিষ্ট কাজ দাও। নাহলে আমাকে ছেড়ে দাও। মুকুলের পক্ষে ব্যাট করছেন কৈলাস ও স্বপন দাশগুপ্ত।
এই অবস্থাতেই একটি সূত্রের খবর, মুকুল বৃহস্পতিবার রাতে অমিতের বাড়ি যান। একাধিক বিষয়ে কথা বলেন। শমীক ভট্টাচার্য কেন বাদ পড়ল, তাঁকে কাজে লাগানো উচিত, এসবও বলেন। তখন অমিত মুকুলকে রাজ্য বিজেপির মূলস্রোতের থেকে একটু আলাদা সংখ্যালঘু উন্নয়নের কথা বলেন। মুকুলকে মুসলিম ভোটারদের মধ্যে সংগঠন বাড়াতে পরামর্শ দেন তিনি।
মজা হল, একটি সূত্র যেখানে বিস্তারিত জানাচ্ছে; অন্য সূত্র বলছে গোটাটাই ভিত্তিহীন। স্বয়ং মুকুল নিজে মুখে কুলুপ এঁটে আছেন এখনও। ফলে কোনদিকের কথা ঠিক, ধোঁয়াশা থাকছেই।

বিজেপির একটি সূত্র বলছে, মুকুল বিধানসভা ভোট নিয়ে তাঁর একটি আসনভিত্তিক মূল্যায়ন দিল্লিকে দিচ্ছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, 100-120 আসনে তৃণমূল এগিয়ে। 70- 90 আসনে বিজেপি এগিয়ে। আরও অন্তত 50- 60টি আসন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মত।

মুকুল আপাতত দিল্লিতেই আছেন।
রাষ্ট্রপতিভবনের সূত্র বলছে, বড়সড় সিদ্ধান্ত বদল না হলে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় রদবদলের কোনো সম্ভাবনা নেই।
