করোনা সংকটের জেরে অধিকাংশ সংস্থার আয়ে টান পড়েছে। ব্যতিক্রম নয় টাটা গোষ্ঠী। এই পরিস্থিতিতে ভারতে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে তারা। ইতিমধ্যে ১০০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে ভারতীয় এই বহুজাতিক সংস্থাটি।
সংস্থা সূত্রে খবর,টাটা গোষ্ঠীর লোকসানের পরিমাণ অপ্রত্যাশিত স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। সেই কারণে ছাঁটাইয়ের বিষয়টি প্রায় পাকা করে ফেলেছেন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্তারা।
চলতি করোনা সংকটে টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন ব্যবসা সমস্যার মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এরোস্পেস, গাড়ি এবং অসামরিক বিমান পরিবহন শিল্প। যে কারণে ঘুরে দাঁড়াতে তাদের কর্মী ছাঁটাই একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
ছাঁটাই তালিকার প্রথমেই রয়েছেন টাটার গাড়ি উৎপাদন ব্যবসায় যুক্ত চুক্তিবদ্ধ কর্মীরা।
জানা গিয়েছে , টাটা মোটর্সের জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার শাখায় কর্মরত উৎপাদন বিভাগের চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের মাথাতেই প্রথমে ছাঁটাইয়ের খাঁড়া ঝুলছে।এ ছাড়া নেদারল্যান্ডসে টাটা গ্রুপের ইস্পাত উৎপাদন ব্যবসা থেকে ১,০০০ থেকে ৯,০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে । এর আগেই ওই সমস্ত কর্মীর ২০% পর্যন্ত বেতন ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছিল টাটা গ্রুপ।
প্রসঙ্গত, লকডাউনের গোড়ার দিকে এই টাটা গ্রুপই ঘোষণা করেছিল যে, কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে না এবং লোকসান সামলাতে কোনও সম্পত্তি বিক্রি করা হবে না। কিন্তু এর আগে গত ১৬ জুন ব্রিটেনের বৃহত্তম গাড়ি উৎপাদন সংস্থা জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ড ৩০% লোকসান দেখার পরে ১,০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে টাটা মোটর্স। ভারতে ২০২০ আর্থিক বর্ষের চতুর্থ মাসিকে ৯,৮৯৪ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে টাটা মোটর্সের। এক বছর আগে এই কোয়ার্টারেই ১,১০০ কোটি টাকা লাভ করেছিল সংস্থা।
তবে কবে থেকে ভারতে টাটা গোষ্ঠী তাদের কর্মী ছাঁটাই শুরু করবে সেই বিষয়ে সংস্থার তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি।
