নারদ কান্ডে মুকুলসহ অভিযুক্তদের ই-মেলে নোটিশ, বাদ শোভন

নারদ ঘুষ কাণ্ড নিয়ে ফের সক্রিয় ED বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রের আর্থিক তদন্তকারী এই সংস্থা মঙ্গলবার ই-মেলের মাধ্যমে নোটিশ পাঠিয়েছে সব অভিযুক্তকে। নোটিশ দেওয়া হয়নি একমাত্র কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে৷

নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, ই-মেলের মাধ্যমে ED নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের সবাইকেই নোটিশ পাঠিয়েছে৷ নোটিশ পাঠানো হয়েছে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায়কেও৷
তবে চাঞ্চল্যকর বিষয়, কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কোনও ধরনের নোটিশ এবার দেওয়া হয়নি৷ এ ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে৷ কোন রহস্যে বাদ গেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে৷

এদিনই ই-মেল মারফত নোটিশ গিয়েছে পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি,সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং সাংসদ অপরূপা পোদ্দার-সহ সবার কাছেই৷ প্রসঙ্গত, লকডাউনের আগে CBI জানিয়েছিলো, আগামী একমাসের মধ্যে তারা নারদ-কাণ্ডের চার্জশিট পেশ করতে চলেছে৷ তার পরেও ED কেন এই নোটিশ জারি করেছে, তা নিয়ে জল্পনা চরমে৷

নারদ কাণ্ডে তৃণমূলের মন্ত্রী-সাংসদ-নেতা-নেত্রী এবং ১ পুলিশকর্তা-সহ মোট ১৪ জন অভিযুক্ত৷ এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শোভনকে এবার নোটিশ পাঠানো হয়নি৷ বাকি ১২ জনকেই নোটিশ পাঠিয়েছে ED। এদিন ED-র পাঠানো নোটিশে অভিযুক্তদের কাছ থেকে তাঁদের গত ৭ বছরের আয়ব্যয়ের হিসেব চাওয়া হয়েছে। গত সাত বছরে তাঁদের যাবতীয় আয়ব্যয় এবং সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য দাখিল করতে হবে ED-র কাছে৷ এই কথাই বলা হয়েছে নোটিশে। চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে দিতে হবে নোটিশের জবাব। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে।” অন্য অভিযুক্তেরা এই বিষয়ে কেউই মুখ খোলেননি। তবে, একাধিক অভিযুক্ত জানিয়েছেন যে তাঁরা এখনও ED-র নোটিশ পাননি৷ নোটিশ পাঠানো হয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কেও। এই মুহুর্তে গেরুয়া শিবিরের জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুকুল রায়।

 

Previous articleপিপিএফ গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট এক্সটেনশনের সময়সীমা বাড়ল ৩১ জুলাই পর্যন্ত, ইমেলেও করা যাবে আবেদন
Next articleকলকাতায় নতুন কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা