চোখের চিকিৎসার জন্যই যে মুকুল রায় দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেননি, তা বিজেপির হাই কম্যাণ্ড’ও বুঝেছে৷ একইসঙ্গে নজরে এসেছে, তাঁর ১৮১ নম্বর সাউথ অ্যভিনিউয়ের বাসভবন থেকে “ঝড়-জলে উড়ে গিয়েছে” বিজেপির যাবতীয় প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার। দু’টি ঘটনাই গুরুতর৷ বিজেপি শীর্ষ স্তর এসব ভালোভাবে বুঝে নিতে চাইছে৷

এদিকে, মুকুল-শিবির সূত্রের খবর, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বুঝিয়েছেন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়৷ অসমর্থিত সূত্রের খবর, শনিবার নাকি শাহের সঙ্গে ফোনে মুকুল রায়ের কথাও হয়েছে৷ এবং আগামী শুক্রবার অমিত শাহ নাকি জরুরি তলব করেছেন মুকুল রায়কে৷ সরাসরি মুকুলের মুখ থেকেই সব কথা শুনতে চান শাহ৷ যদিও এসবই মুকুল শিবির থেকে রটানো হচ্ছে। বাস্তব হলো স্বপন, বাবুলরা মরিয়া হয়ে মুকুলকে ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। দিল্লির জল্পনা, বাংলার আগামী নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি এসেও ঠিক কোন কারনে, কাদের জন্য মুকুল রায় ফিরে যেতে বাধ্য হলেন, তার কিছুটা অমিত শাহের কানে গিয়েছে৷ ভোটের মুখে দলের স্বার্থে ব্যাপারটি ভালোভাবে নেননি শাহ৷ এই কারনেই তিনি সরাসরি মুকুলের সঙ্গে কথা বলতে চান শাহ৷ পরিস্থিতি ভালো দিকে যাচ্ছে না দেখে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষস্তর কার্যত একটা শেষ চেষ্টা করতে চাইছে বলেই দিল্লি সূত্রের খবর৷ বিজেপি সূত্রে খবর, স্রেফ সামনে ভোট বলে এতকিছু চলছে। নাহলে গত দু’বছরের মতো ওয়েটিং লিস্টেই থাকতে হতো মুকুলকে।
